The News Nest: করোনাভাইরাস ৮ থেকে ১৩ ফিট পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এই কারণে মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য ঘোষণা করলেন বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেস-এর গবেষকরা।
শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে বাতাসে ভেসে থাকা জলকণার মাধ্যমেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটে। হাঁচি, কাশি অথবা কথা বলার মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এই জীবাণু।বেঙ্গালুরুর গবেষকরা বাতাসে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার গতি-প্রকৃতি বুঝতে একটি মডেল তৈরি করেছেন। মডেলে একজন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে বের হওয়া জলকণার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এতক সুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে বেরোনো জলকণা।
আরও পড়ুন : সুন্দরবনের মধু, তুলসি পাতা দিয়ে তৈরি! প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘আরোগ্য সন্দেশ’ আনছে সরকার
পরীক্ষায় দেখা হয়েছে বাতাসে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে এই জলকণা, কত দূর তারা ছড়িয়ে যেতে পারে এবং কেমন আকৃতি নিয়ে কত সময় তারা বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, জলকণার টিকে থাকা এবং সফর সময় অনেকটাই নির্ভর করে হাওয়ার গতি, কম্পন ইত্যাদি বেশ কিছু বিষয়ের উপরে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জানিয়েছেন, ‘হাওয়ায় গতি না থাকলে সাধারণ অবস্থায় প্রতিটি জলকণা বাতাসে মিলিয়ে যাওয়ার আগে ৮ থেকে ১৩ ফিট পর্যন্ত সফর করতে পারে।’
এই গবেষণার পরে পরিষ্কার হয়েছে যে, সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব ৬ ফিটের চেয়ে বেশি রাখা জরুরি। এ ছাড়া সবচেয়ে দূর পর্যন্ত উড়ে যাওয়া জলকণার আকার দেখা গিয়েছে ১৮-৫০ মাইক্রন। এই কারণে সংক্রমণ রুখতে মাস্ক অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
আনলক শুরু হতেই বাজারে বেড়েছে ভিড়. কেউ কিছু তোয়াক্কা করছে না। অথচ করোনা সংক্ৰমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। খানিকটা সচেতনতা অবলম্বন করলে নিজের কল্যাণ এবং অন্যের কল্যাণ। আর তা করতে বিশেষ কষ্টও নেই।
আরও পড়ুন : নারীদেহের ভিতরে সুপ্ত পুরুষাঙ্গ, ক্যানসার রোগীর পরীক্ষা করতে গিয়ে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য