Site icon The News Nest

“বাস্তবটা বুঝুন”, মোদীর মোমবাতি-বার্তাকে কটাক্ষ বিরোধীদের

PM Modi Appeals for Candle and Diyas

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের অন্ধকারময় পরিস্থিতি কাটাতে রবিবার রাত ৯টার সময় ৯ মিনিটের জন্যে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে মনোবল একজোট করতেই ঘরের আলো নিভিয়ে ৯ মিনিটের জন্যে ওই কাজ করার অনুরোধ করেন তিনি। তবে রাস্তায় বেরিয়ে নয়, দেশবাসীকে যার যার ঘরের বারান্দা বা দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েই ওই আলো জ্বালানোর অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর নরেন্দ্র মোদির এই আহ্বানকেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং চিদাম্বরম সহ বিরোধীরা। লকডাউন চলাকালীন এই ধরণের আহ্বান শুধুই লোক দেখানো, এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।

 

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘আলো নেভান ও ব্যালকনিতে আসুন। বাস্তবে ফিরুন মিস্টার মোদী। ভারতকে আর্থিক প্যাকেজ দিন। লকডাউনের সময় অবিলম্বে নির্মাণকর্মী ও দিনমজুরদের পারিশ্রমিক নিশ্চিত করুন।’

মোদীকে কটাক্ষ করে পরপর ট্যুইট করেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পি চিদম্বরমও। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা আপনার কথা শুনব আর ৫ এপ্রিল মোমবাতি জ্বালাব। তবে তার বদসে দয়া করে আমাদের কথা এবং জ্ঞানী অর্থনীতিবিদদের কথা শুনুন।’

কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, ‘প্রধান শোম্যানের কথা শুনলাম। তবে মানুষের যন্ত্রণা, তাঁদের বোঝা ও আর্থিক সংকট মেটানোর কোনও সমাধান নেই। ভবিষ্যতের কোনও দিশা নেই। লকডাউনের পর কী হবে তার কোনও পরিকল্পনা নেই।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুধু একটা ফিলগুড মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন।  তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদী হলেন ফোটো-অপ প্রাইম মিনিস্টার অর্থাত্ এমন প্রধানমন্ত্রী যিনি শুধু ফোটো তুলতে ব্যস্ত।

এরপর আরও একটি কটাক্ষ ভরা টুইট পোস্ট করেন থারুর। রসিকতা মেশোনা টুইটে থারুর বলেন, ‘এটা কোনও কাকতালীয় বিষয় নয়। রাম নবমীতে সকাল নটায় নয় মিনিটের জন্য বক্তব্য রাখলেন মোদী। চতুর্থ মাসের পঞ্চম দিন রাত নটার সময় নয় মিনিটের জন্য আলো জ্বালাতে বললেন। উনি সমস্ত হিন্দু ধর্মের শুভ জিনিসের কথা বলছেন, যা ৯ সংখ্যা থেকে শুরু। তাহলে কী এখন রাম ভারোসে?’

এদিকে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সমালোচনার জবাব দিলেন বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি একজন যোগ্য অভিভাবকের মতো “দেশবাসীকে হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ও আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছেন”।টুইট তিনি বলেন, “বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তায় হতাশ হয়েছেন। তাঁরা তথ্য, পরিসংখ্যান এবং নতুন নীতি চান। এঁরা হলেন সেই মানুষ যাঁরা তাঁদের ঘরের একটি বাচ্চা বা গৃহপালিত পশুটিকেও ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীকে ১৩০ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক দেশকে পরিচালনা করতে হয়”।

Exit mobile version