Site icon The News Nest

পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

Migrant labour

নয়াদিল্লি: আগামিকাল সোমবার থেকে চালু হচ্ছে একাধিক ক্ষেত্র। ‘নন হটস্পট’ এলাকাগুলিতে শিথিল হচ্ছে লকডাউনের নিয়মকানুন। কিন্তু ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে পারবেন না। রবিবার নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

তবে ওই শ্রমিকরা যে যেখানে রয়েছেন, সেখানেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কাজের জন্য নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের কাজ দেওয়া হবে। তবে রাজ্যের মধ্যে স্থানান্তরে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র।

স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নাম নথিভুক্তির বিষয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা, ‘‘যে সব পরিযায়ী শ্রমিক ত্রাণকেন্দ্র বা আশ্রয়স্থলে রয়েছেন, তাঁরে সেই রাজ্যের সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। কে কোন ধরনের কাজে দক্ষ বা প্রশিক্ষিত, সেই অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসনই তাঁদের কাজে নিয়োগ করবে।’’ অর্থাৎ, কে কোন ধরনের কাজ করতে চান, বা কী ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে রাখতে হবে। দরকার মতো প্রশাসন কাজ দেবে।

নয়া নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ‘‘যেহেতু ২০ এপ্রিল থেকে সংক্রমিত এলাকার বাইরে বেশ কিছু কর্মকাণ্ড শুরু হচ্ছে, তাই এই পরিযায়ী শ্রমিকদের শিল্প, উৎপাদন, নির্মাণ, কৃষি বা ১০০ দিনের কাজে অস্থায়ী ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।’’ কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বাদ দিয়ে এই সব পরিযায়ী শ্রমিকরা কতটা কাজ পাবেন, বা আদৌ পাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। তবে যে পরিস্থিতিই হোক, তাঁদের যে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার অনুমতি কোনওভাবেই দেওয়া হবে না, কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তিতে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হল। ফলে এখনো তা নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা একেবারেই আস্বস্ত হতে পারছেন না। কাজের খবরও তাদের পাকা নয়, আবার তারা বাড়িও ফিরতে পারছে না।

আরও পড়ুন:  ‘গ্রিন জোন’ পূর্ব বর্ধমানেও এ বার ঢুকে পড়ল করোনা, মিলল প্রথম আক্রান্তের খোঁজ

হঠাৎ লকডাউনের জেরে সবথেকে চাপে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিক শ্রেণির মানুষ। বিরোধীদের অনেকেরই বক্তব্য এই অসুখটা যে বিদেশ থেকে এসেছে সে খবর কেন্দ্রের কাছে ছিল। সেই যুক্তিতে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করে দেওয়া যেত। কিন্তু তা না করে হঠাৎ লকডাউন করে দিন আনা দিন খাওয়া লোকেদের নিদারুন যন্ত্রনায় ফেলা হল।

এই মানুষজনের কেউ কেউ তাই লকডাউন ঘোষণার পর দীর্ঘ পথ হেঁটে পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু যাঁরা ফিরতে পারেননি, তাঁরা মাঝপথেই আটকে পড়েছেন। রাজ্য সরকারের কোনও আশ্রয়স্থলে বা ত্রাণশিবিরে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে তাঁদের। পরিবারের লোকজনও রয়েছেন উদ্বেগে, অভাবে। যে এলাকায় তাঁরা আটকে পড়েছেন, সেখানে কাজ পেলেও তাঁদের সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা সুরাহা হতে পারত। কিন্তু স্থানীয়দের বাদ দিয়ে প্রশাসন পরিযায়ীদের জন্য কতটুকু ব্যবস্থা করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:  Lockdown 2.0: অনাবশ্যক পণ্য সরবরাহে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে ‘না’ কেন্দ্রের,জারি নয়া নির্দেশিকা

Exit mobile version