লকডাউনের পর জনগণের ঘোরাফেরা ও সংক্রমণ রুখতে আগাম ছক করুন, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: লকডাউন কি ২১ দিন পর উঠে যাবে? বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে কী আভাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী? বৈঠক থেকে যা উঠে এল, লকডাউনের পরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প পথ খুঁজতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীদের নরেন্দ্র মোদীর বার্তা, লকডাউনে ঢিলে দেওয়া চলবে না। আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও নমুনা পরীক্ষা, আক্রান্তের খোঁজ, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের উপরে জোর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না বৈঠকে। তবে ছিলেন মুখ্যসচিব। জরুরি পথ্য ও মেডিক্যাল সরঞ্জামের যেন কোনও অভাব না হয়, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের নজর রাখার আর্জি জানান মোদী। করোনা মোকাবিলার জন্য পৃথক হাসপাতালের কথাও মুখ্যমন্ত্রীদের বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়,”কোনওভাবেই যেন পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাব না হয়। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি অনলাইন প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করা হবে।”

আরও পড়ুন:  আগামীকাল সকালে ন’টায় দেশবাসীকে বার্তা দেবেন নমো, তুঙ্গে কৌতূহল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত ২৪ মার্চ সারা দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার মধ্যে এক সপ্তাহ পার হয়েছে। এখনও সংক্রমণ বাড়ছে। তার জেরে সারা দেশে উদ্বেগ ছড়িয়েছে যে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতেই আজ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ৯ জন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির শীর্ষ আমলারা। তবে সেখানেও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই হয়েছে বৈঠক।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন, ‘‘(লকাডউনের পরে) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে ফের ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি যৌথ পরিকল্পনা তৈরি করা জরুরি।’’ বৈঠক সূত্রে খবর, মোদী বলেছেন, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরেই আগেকার মতো সব কিছু গতানুগতিক চলতে শুরু করল, এমনটা হতে দেওয়া যায় না। বরং তার পরেও কিছু নিয়ন্ত্রণ বা সতর্কতা নিতে হবে।

আরও পড়ুন: করোনা-ঝড়ে তছনছ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,স্পেন ও ইংল্যান্ড, বিশ্বে ৪৭ হাজার ছাড়াল মৃত্যু

লকডাউনে সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার দিকেও নজরে রাখতে বলেন মোদী।তিনি জানান, কৃষিকাজে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে ঠিকই।কিন্তু সেক্ষেত্রেও যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে, সেই আর্জি করেন তিনি।

ইতিমধ্যেই দেশে ৪টি করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেই অংশগুলিতে যাতে কোনওভাবেই ঢিলে না দেওয়া হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের আর্জি করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, কিছু কিছু রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন এখনও বেশ শিথিল। সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে জেলাস্তরে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: আগামী বছর ১ম থেকে ৮ম শ্রেণিতে ঢালাও পাশ, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

Gmail

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest