করোনা সারবে গোবর এবং গোমূত্রে, আজব দাবি অসমের বিজেপি বিধায়কের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গুয়াহাটি: সারা বিশ্বের গবেষকরা চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখনও আবিষ্কার হয়নি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক। তবে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির উপায় বাতলে দিলেন অসমের বিজেপি বিধায়ক সুমন হরিপ্রিয়া!

সোমবার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে বিধানসভায় সুমন দাবি করেন, গোবরের সঙ্গে কয়েকটি পদার্থ মিশিয়ে যে সংমিশ্রণ তৈরি হয়, তা করোনাভাইরাসের নিরাময় করতে পারে। বাংলাদেশে গরু পাচার সংক্রান্ত একটি আলোচনা চলাকালীন তিনি বলেন, ‘‘আমরা সকলেই জানি গোবর খুবই উপকারী। ঠিক তেমনই, চারপাশে গোমূত্র ছড়ানো হলে তা ওই জায়গাটা পরিশ্রুত করে… আমার মনে হয়, করোনাভাইরাস সারাতে সে রকম কিছুই করা প্রয়োজন।’’

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক এ রাজ্যেও, জলের দরে মুরগি বিকোচ্ছে বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলায়

তবে শুধু করোনাভাইরাস নয়, ক্যানসারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গোমূত্র অত্যন্ত উপযোগী বলে দাবি করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয়া চক্রবর্তীর মেয়ে। তিনি বলেন, ‘গুজরাতের কয়েকটি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে ক্যানসার রোগীদের গোরুদের সঙ্গে রাখা হয়। তাঁদের গায়ে গোবর লাগানো হয়। দুধ, ঘিয়ের সঙ্গে গোমূত্র মিশিয়ে ওষুধ দেওয়া হয়। তা অভূতপূর্ব কাজ করেছে।’

তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। হরিপ্রিয়ার আরও দাবি, ভারত, বিশেষ করে অসম থেকে গরু পাচার করে তা রফতানি করেই বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিফ রফতানিকারী দেশ হল বাংলাদেশ। ওই সব গরুগুলোই আমাদের গরু!’’

হরিপ্রিয়ার অভিযোগ, ‘‘কংগ্রেস সরকারের আমলে রাজ্যে গরু পাচার রুখতে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।’’ এ নিয়ে বিজেপি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। তবে, তাঁর করোনা রোধের উপায় নিয়ে করা মন্তব্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় হট-টপিক। 

সুমন হরিপ্রিয়া অবশ্য প্রথম নয়। এর আগে হিন্দু মহাসভার নেতা স্বামী চক্রপাণি একই রকম নিদান দেন। তাঁরও দাবি ছিল, গোমূত্রে নিরাময় হতে পারে করোনা।

আরও পড়ুন: ভারতে মহামারীর আকার নিতে পারে করোনা ভাইরাস, আশঙ্কা আমেরিকার

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ  আবার বলছেন, করোনা নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। নিয়মিত যোগ-ব্যায়াম করলেই এই ভাইরাস আপনার ধারেকাছে আসতে পারবে না। যোগী বলছেন, “দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় বিষয় বল মানসিক সুস্থতা। মানসিকভাবে সুস্থ থাকলেই আমার শরীরের আশেপাশে কোনও রোগ ঘেষতে পারবে না। যদি কেউ মানসিক অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেয়ে যায়, তাহলে তাঁর উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, কিডনির সমস্যা বা করোনা ভাইরাসের মতো কিছুই হবে না।” আর মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত যোগাভ্যাসকেই হাতিয়ার করতে বলছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest