#লর্ডস: ব্রিটিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্যাকফুটে নিউ জিল্যান্ড। ফাইনালে বড় রান করতে ব্যর্থ কিউই ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন। দুরন্ত লিয়াম প্লাঙ্কেট, ক্রিস ওকসরা। লর্ডসে ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান তোলে। বিশ্বকাপ জিততে ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট ২৪২ রান।
এ দিন শুরু থেকে অবশ্য কিছুটা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় ছিলেন কিউয়ি ওপেনার গাপটিল। অন্যদিকে ধীরে শুরু করেন নিকোলস। শুরুতে ওকসের বলে নিকোলসকে এলবিডাবলু আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি। কিন্তু গাপটিল পারেননি। ওকসের বল তাঁর প্যাডে লাগলে আম্পায়ার আউট দেন। রিভিউতেও দেখা যায় আউট ছিলেন তিনি। গাপটিল ১৯ করে আউট হওয়ার পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন পার্টনারশিপ গড়েন নিকোলসের সঙ্গে। রানের গতি কম হলেও খেলছিলেন তাঁরা।
দলের রান সেঞ্চুরি পার হওয়ার পরেই প্লাঙ্কেটের বলে ৩০ রানের মাথায় আউট হন উইলিয়ামসন। নিকোলসও ৫৫ করে প্লাঙ্কেটের বলে আউট হন। তাড়াতাড়ি দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দলের দায়িত্ব গিয়ে পড়ে রস টেলর ও টম ল্যাথামের উপর। কিন্তু ১৫ করে আউট হন টেলর। অবশ্য রিপ্লেতে দেখা যায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।
জেমস নিশাম রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও ১৯ করে আউট হন। রান পাননি ডি গ্র্যান্ডহোমও। শেষ দিকে কিছু শট খেলেন ল্যাথাম। শেষ পর্যন্ত ৪৭ করে ওকসের শিকার হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে ওকস ও প্লাঙ্কেট ৩টি করে উইকেট নেন।এখন সব দায়িত্ব কিউয়ি বোলারদের। ইংল্যান্ডকে হারাতে গেলে দুই ওপেনারকে জলদি প্যাভিলিয়নে পাঠাতে হবে। দেখার আগের দিনের মতোই বিধ্বংসী বোলিং শুরু করতে পারেন কিনা বোল্টরা।
এর আগেও বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ড। গত বারের বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছেও নিউজিল্যান্ড শেষ মেশ চোক করে যায়। দুটো দেশেরই ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু, বিশ্বকাপ ছোঁয়া হয়নি দু’ দেশের অধিনায়কের। কাপ ও ঠোঁটের মধ্যে যে দূরত্বটা থাকে, সেই দূরত্বই থেকে গিয়েছে বার বার।
এ বার লর্ডসের মাঠে ইতিহাসের চাকা ঘুরবেই। যে দেশই চ্যাম্পিয়ন হোক, ক্রিকেটবিশ্ব পাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।