ওয়েব ডেস্ক: ঘোষণা মতো শনিবার সকাল থেকে খুলল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের দরজা। ভবতারিণীকে পুজো দিতে ভোর থেকেই লম্বা লাইন পড়েছে। সকালবেলায় পুণ্যার্থীদের লাইন পৌঁচেছে স্কাইওয়াক পর্যন্ত।
সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে, মুখে মাস্ক পরে পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছেন ভক্তরা। মন্দির জুড়ে রয়েছে কড়া সতর্কতা। প্রবেশদ্বারের আগে থেকেই সুরক্ষা নেওয়া হয়েছে। লাইন শুরু হওয়ার আগেই দর্শনার্থীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দাসপুরে তাসের ঘরের মতো ভাঙল চারতলা বাড়ি! ক্ষয়ক্ষতি?
দিতে হচ্ছে লাইন। বিধি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্বে কেটে দেওয়া হয়েছে নীল গণ্ডি। তার মধ্যেই দাঁড়াতে হচ্ছে ভক্তদের। কিছুটা লাইন দেওয়ার পর আবারও চেকিং করা হচ্ছে মন্দিরের তরফ থেকে। জমা রাখা হচ্ছে মোবাইল-সহ যাবতীয় জিনিস।
পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রেও জারি হচ্ছে একাধিক নিয়ম। যেমন গর্ভগৃহের বাইরেই দিতে হবে পুজো। নিরাপত্তাকর্মীরা পিপিই কিট পরেই রয়েছেন। পুজোর জন্যে ফুল অর্পন করা যাবে না। পুরোহিতদের তরফ থেকে দেওয়া হবে না চরণামৃতও। কেবলমাত্র প্রসাদি মিষ্টি দেওয়া হবে।
বেশিরভাগ দর্শনার্থী প্রসাদ নিয়ে পুজো দিলেও আবার অনেক দর্শনার্থী খালি হাতেই মাকে প্রণাম করে চলে যান। মন্দিরে আসা এক দর্শনার্থী বলেন, “দীর্ঘ আড়াই মাস বাদে মন্দির খোলায় মানসিক শান্তি পেলাম। আজকে মন্দির খুলবে তা শুনে গতকাল রাতে ঘুম হয়নি। সকাল হতে না হতেই মন্দিরে চলে এসেছি। মাকে পুজো দিয়ে বলে গেলাম গোটা বিশ্বকে করোনা মুক্ত কর।”
শনিবার সকালে অবশ্য দেখা গেলো দক্ষিণেশ্বর সংলগ্ন এলাকার মানুষই এদিন মন্দিরে এসে পুজো দিলেন। দক্ষিণ কলকাতা বা মধ্য কলকাতা বা অন্যান্য অংশ থেকে দর্শনার্থীদের আসার সংখ্যা খুবই নগণ্য বলা যায়। অন্যদিকে দীর্ঘ আড়াই মাস বাদে খুলেছে মন্দিরের ডালার দোকানগুলো। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে ডালার দোকান খুলবে। সেই মোতাবেক দোকানগুলি খুললেও দর্শনার্থীরা কম আসায় কিছুটা হতাশ ব্যবসায়ীরা। গত দুমাস ধরে সঞ্চিত অর্থ দিয়েই এঁরা সংসার চালিয়েছেন
আরও পড়ুন : রাজ্যের ক্ষমতায় কোপ, বাড়বে মাশুল! নয়া বিদ্যুৎ-প্রস্তাব কেন্দ্রের, আপত্তি জানিয়ে নমোকে চিঠি মমতার