নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ডাকে রবিবার দেশজুড়ে চলছে জনতা কার্ফু। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানুষ ঘরে আছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকানোর জন্য। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, কলকাতা থেকে দিল্লি, দেশ আজ এক করোনার থাবাকে রোখার জন্য। অন্যদিকে করোনার থাবায় আরও দুইজন মারা গেলেন দেশে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭। আজ সকাল থেকে ২৬টি নতুন কেসের সন্ধান মিলেছে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ পরিস্থিতি! করোনা-মৃত্যুতে ফের রেকর্ড, ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭৯৩
মৃতদের মধ্যে একজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৬৩ বছর। তিনি ২১ মার্চ থেকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই নিয়ে এখানে ২ জনের মৃত্যু হল। এই মহুর্তে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪। অন্যজন রাজস্থানের। তাঁর বয়স ৫৬ বছর। তিনি ইতালির পর্যটক। রাজস্থানে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: শুনশান রাস্তাঘাট, অমিল বাস, বন্ধ দোকানপাট, জনতা কার্ফু-তে স্তব্ধ রাজ্য
শনিবার রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিহারে মৃত্যু হয় এক জনের। মৃতের নাম সইফ আলি। তাঁর বয়স ৩৮ বছর। এই প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিহারে মৃত্যু হল। বিহারের স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, পাটনার এইমসে শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। সম্ভবত এই প্রথম ভারতে এত কম বয়সী কারও মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে। এর আগে বিহারে কোভিড ১৯ সংক্রমণের কোনও তথ্য প্রকাশ্যে আসেনি। সম্ভবত ইনিই প্রথম বিহারের আক্রান্ত বাসিন্দা। তবে সূত্রের খবর, বিহারে আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে।
শুরুতে সংক্রমণের হার অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু সময় যত পেরোচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাটাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে ভারতে। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪১। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। যে ভাবে সংক্রমণের সংখ্যাটা বাড়ছে, তাতে গোটা দেশে আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে। আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান এবং বিহারে।
গোটা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। করোনার থাবা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯২ হাজার। সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষেই রয়েছে চিন। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮২ হাজার। তার পরেই রয়েছে ইটালি। সেখানে এই সংখ্যাটা প্রায় ৫৪ হাজার। তবে মৃত্যুর দিক থেকে সব দেশকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ইটালি। সেখানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার মানুষের। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ১৭১টি দেশে।