করোনা আবহে নয়া শঙ্কা, ভয়ঙ্কর গতিতে রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে আমফান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: করোনা আবহের মধ্যে নয়া আতঙ্ক রাজ্যে। শনিবার বিকেলের মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে আমফান । প্রথমে তার অভিমুখ উত্তরমুখী হলেও, পরে বাঁক নিয়ে তা উত্তর-পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে এগোবে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল রবিবার ঘূর্ণিঝড়টি  ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পরে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে অতি ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের গতি পৌঁছে যেতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৭০-২০০ কিলোমিটার। স্থলভাগের দিকে যত এগবে, তার গতি কিছুটা কমে। তবে আছড়ে পড়ার সময় আমফান কতটা শক্তি বাড়াবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এখন থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে।  আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপটি ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১ হাজার ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। দিঘা থেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার, বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনা কাঁটা, শেষ পর্যন্ত যোগীরাজ্যেও বন্ধ হয়ে গেল NPR!

মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপটি ওডিশার পারাদ্বীপ থেকে ১ হাজার ৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তবে প্রাথমিক পূর্বাভাস পেয়েই সতর্ক হচ্ছে রাজ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, মৌসুনি দ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপের বেহাল নদী ও সমুদ্র বাঁধের পাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। মাইকেও প্রচার করা হবে। তৈরি রাখা হচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। সুন্দরবনের প্রতি ব্লকে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুসারে ভূভাগে প্রবেশ করার সময় ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিগের থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। পূর্ব মেদিনীপুর দিয়ে প্রবেশের পর হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ হয়ে ঝড়টি ঢুকবে বাংলাদেশে। 

বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ হিসাবে দিঘা থেকে ১,২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে আমফান। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজই সেটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে গতিমুখ বদল করবে। বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোলেও আগামিকাল থেকে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে থাকবে।


কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার দুপুরে বলেন, “গভীর নিম্নচাপের অবস্থান এই মুহূর্তে দিঘা থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দূরে। পরে উত্তর-পূর্ব দিকে অভিমুখ থাকলেও, এখনই বলা যাচ্ছে না কখন, কোন সময়ে, কোথায় তা আছড়ে পড়বে। সময়ে সময়ে এ বিষয়ে বুলেটিন দেওয়া হবে।”

ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে ‘আমফান’ যদি এ রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়ে, তা হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। ক্ষতি হতে পারে চাষের। একে করোনার জেরে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, তার উপরে ‘আমফান’ যদি সরাসরি ছোবল মারে এ রাজ্যের উপকূল এলাকায়, তা হলে সঙ্কট আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সংক্রমণে চিনকেও টপকে গেল ভারত, আক্রান্ত প্রায় ৮৬ হাজার, সুস্থ ৩০ হাজারের বেশি

Gmail 1
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest