ওয়েব ডেস্ক: ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক রক্ষাকবচ হতে পারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণেও। সম্প্রতি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের সবুজ সঙ্গেত পেল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (hydroxychloroquine)। তবে সংক্রামিত রোগীদের উপরে এই ড্রাগ প্রয়োগ করার জন্য এখনই ছাড়পত্র দিল না ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ড্রাগ রিসার্চ (আইসিএমআর)। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে আইসিএমআরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যকর্মী যাঁরা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করছেন, অথবা হোম-কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগী যাঁদের শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ, এমন রোগীদের চিকিৎসা বা কাছ থেকে দেখাশোনা করছেন যাঁরা, শুধুমাত্র তাঁদের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা যাবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। এই ড্রাগ তাঁদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে।
আরও পড়ুন: মিলল ছাড়পত্র, রাজ্যের ৫ বেসরকারি ল্যাবে শুরু হবে করোনা পরীক্ষা
কিন্তু তারপর থেকে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কিনে নিচ্ছেন ওষুধের দোকান থেকে। এটির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করল কেন্দ্র।হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে কিছুটা ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গিয়েছে করোনার বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও অনেক ক্লিনিকাল ট্রায়াল হওয়া বাকি, এটা হলফ করে বলার জন্য এই ওষুধে করোনা সারে। আইসিএমআরের, এপিডেমোলজি বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন যে পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু মানুষকে এই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সেটি খুব অল্প সংখ্যক লোক, যাদের ওপর আমরা নজর রাখছি। এটা সবার জন্য নয়। সাধারণ মানুষকে ওষুধের দোকান থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কিনতে মানা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করিনাকে অশ্লীল অপমান, তৈমুরের ধর্ম নিয়ে কুৎসিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন অর্জুন
যে সব স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, কিন্তু এখনও কোনও শরীরে করোনার চিহ্ন নেই, তাদের প্রাথমিক চিকিত্সার জন্য হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও ১৫ বছরের নিচের ও ৬০ বছরের ওপরের মানুষদের এই ড্রাগ ব্যবহার করা উচিত না। তাই কিছুতেই নিজের থেকে এই ওষুধ খাবেন না, সাবধান করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসার অতুল নাসা জানিয়েছেন যে তারা কেমিস্টদের জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসক্রিপশন ছাড়া যেন কোনও ভাবেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বিক্রি না করা হয়।
আরও পড়ুন: সবসময় রাত আটটাতেই বলেন আর সময় দেন ৪ ঘণ্টা, মোদির লকডাউন ঘোষণার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অনুরাগ