ওয়াশিংটন: করোনা ভাইরাসকে ‘চিনা ভাইরাস’ বলে বিতর্ক বাড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা ভাইরাস ‘চিনা ভাইরাস’ বলে সরাসরি টুইট করেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি। তাঁর এই টুইট ঘিরে ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে ।
শুরুতে নোভেল করোনার প্রকোপকে তেমন আমল দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু গত কয়েক দিনে মার্কিন মুলুকে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। প্রাণ হারিয়েছেন ৮৭ জন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছে। নিজেও ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছেন ট্রাম্প। আর তার পরেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে যাবতীয় গড়িমসির অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে উদ্যত হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক: এক বছরের জন্য পিছিয়ে গেল ইউরো কাপ
নভেল করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে মার্কিন সরকার। ইউরোপীয় নাগরিকদের আমেরিকা ভ্রমণ সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাতে একাধিক বিমান সংস্থা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন অর্থনীতিবিদরা। তা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়েই সোমবার চিনকে নিশানা করেন ট্রাম্প। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘চিনা ভাইরাসের প্রকোপে বিমানসংস্থা-সহ আর যে যে শিল্পগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আগামী দিনেও মার্কিন সরকার তাদের পাশে থাকবে।’’
আরও পড়ুন: Corona Update: বিশ্বে মৃত ছাড়াল ৭০০০, দেশে আক্রান্ত বেড়ে ১৩৭, এবার পরীক্ষা বেসরকারি ল্যাবেও
এই মন্তব্যের জন্য দেশের অন্দরেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্কেই এখনও পর্যন্ত নোভেল করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখানকার মেয়র বিল ডি ব্লাসিও ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁদের সেবায় আপনি নিযুক্ত, সেই এশীয়-মার্কিন নাগরিকরা এমনিতেই নাজেহাল। এমন অবস্থায় বিভেদে এ ভাবে ইন্ধন না জোগালেই পারেন আপনি।’’
(আপনার আশপাশের পরিবর্তনের অংশ হতে চান? আমাদের খবর পাঠান ইমেল্ ও হোয়াটআপের মাধ্যমে)