100% pass of higher secondary, announced WBCHSE with new marksheet

উচ্চ মাধ্যমিকেও ১০০% পাশ, নয়া মার্কশিট দিয়ে ঘোষণা সংসদের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিক্ষোভের সামনে নতিস্বীকার করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সমস্ত অনুত্তীর্ণ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়া হল। সোমবার সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, রাজ্য সরকার ‘মানবিক’। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির বিবেচনা করে সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের মতো এবার উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ১০০ শতাংশ হচ্ছে।

করোনা (Coronavirus) আবহে পরীক্ষাহীন মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক। স্কুলজীবনের এসব বড় পরীক্ষা হলে বসে দেওয়ার সুযোগ পায়নি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা। বিকল্প পদ্ধতিতে এবার তাদের মূল্যায়ন হয়েছে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের একাংশ। ২০২১ সালের মাধ্যমিকে ১০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশ করলেও, উচ্চমাধ্যমিকে এই হার ছিল ৯৭.৬৯ শতাংশ। আর তাতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছিল প্রবল বিক্ষোভ। পথ অবরোধ, স্কুলে ভাঙচুর, সংসদ কার্যালয় বিদ্যাসাগর ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ – কিছুই বাদ পড়েনি।

সোমবার সংসদের সভাপতি দাবি করেন, ফল প্রকাশের পর থেকে বিক্ষোভ চললেও তাতে সংসদের কোনও ভূমিকা ছিল না। বিক্ষোভে এমন পড়ুয়া ছিলেন, যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলআপও করেননি। কয়েকজন পড়ুয়া এতটাই নম্বর কম পেয়েছেন যে মূল্যায়নের সময় তাঁদের পাশ করানো যায়নি। ব্যাখ্যা দিয়ে সংসদ সভাপতি দাবি করেন, বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করতে ২১ নম্বর পেতে হত। কলা বিভাগে সেই মাপকাঠি ছিল ২৪। কিন্তু অনেকেই এক অঙ্কের ঘরও পার করতে পারেননি। প্র্যাক্টিকালেও পেয়েছেন শূন্যও। তাই স্বভাবতই পাশ করানো সম্ভবপর হয়নি।

আরও পড়ুন : Tokyo 2020: ব্যক্তিগত জাম্পিং ইভেন্টের ফাইনালে উঠে পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ফওয়াদ মির্জা

কেন উচ্চ মাধ্যমিকে ২.৩১ শতাংশ অকৃতকার্য হয়েছে, তার ব্যাখ্যা চেয়ে সংসদের সভাপতির কাছে জবাব তলব করেছিল শিক্ষাদপ্তর।এরপর শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন উচ্চ মাধ্যমিক ফল বিভ্রাট ইস্যুতে জেলাশাসকদের মাঠে নামার নির্দেশ দেন। সংসদ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে অসন্তুষ্ট ছাত্রছাত্রীদের আবেদন নিয়ে স্কুলগুলিকে আসতে নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি একটি ছাপানো মুচলেকা ডিআইদের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে সই করিয়ে নেয় সংসদ। মুচলেকায় প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা বা টিচার ইনচার্জদের জানাতে হয়, “আমাদের ত্রুটির কারণেই কিছু ছাত্রছাত্রীর ভুল নম্বর এসেছে। তার জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি। দয়া করে নতুন মার্কশিট দেওয়া হোক।” এরপর আবেদনকারীদের সবাইকে সংশোধিত মার্কশিট পাঠানো হয়। তাতে দেখা যায়, সকলেই পাশ করেছে।

আরও পড়ুন : টেলিগ্রামের নতুন ফিচার, একসঙ্গে গ্রুপ ভিডিয়ো কলে যুক্ত হতে পারবেন ১০০০ জন!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest