আদালতের জট কাটিয়ে দু’ মাসের মধ্যেই ১৫ হাজার স্কুল শিক্ষককে নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu on SSC Recruitment)৷ এ দিন বিধানসভাতেই এই মন্তব্য করেন তিনি৷ শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগের নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চলছে৷
২০১৯ সালের ১ অক্টোবর। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) নির্দেশ ছিল, এই সময়ের মধ্যে SSC চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু কমিশনের তরফে তা করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে চলতি বছরের ২১ জুন উচ্চপ্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের তালিকা প্রকাশিত হয়। আর তার পরপরই তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন জনা কয়েক আবেদনকারী। তাঁদের মূল অভিযোগ, ইন্টারভিউয়ের তালিকায় মোট নম্বরের উল্লেখ নেই। তার ফলে বেশি নম্বর পাওয়া অনেক প্রার্থীর নামই তালিকায় নেই।
আপার প্রাইমারিতে মেধাতালিকা প্রকাশে অস্বচ্ছতার অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েন ছিল। হাই কোর্টের রায় মেনে পরবর্তী সময়ে নতুন করে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। শুরু হয়েছে নিয়োগও। কিন্তু প্রাথমিকভাবে যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও নতুন মেধাতালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁরা এসএসসি বোর্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন উচ্চ আদালতের নির্দেশেই। ফলে নিয়োগের পথ মসৃণ হচ্ছে না কিছুতেই।
কিন্তু সেসব জটিলতা দ্রুত কাটিয়ে শিক্ষক (Teachers) নিয়োগে তৎপর রাজ্য সরকার। লক্ষ্য আগামী দু’মাসে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ। উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্থাৎ যেসব স্কুলে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি রয়েছে, সেখানে পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন ব্রাত্য বসু। তাতেই ফের আশা উজ্জ্বল হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি স্কুলগুলিতে অনলাইন ভরতি প্রক্রিয়াই জারি রাখতে চান শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, স্বচ্ছতা বজায় থাকে এতে। আগামী দিনেও এভাবেই ভরতি হবে। এখানে কোনও সমস্যা হবে না।