Site icon The News Nest

পুজোর আগে বড় ঘোষণা! ৭ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হবে রাজ্যে

primary teacher

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন ‘এবার টার্গেট শিল্প’। সামাজিক কল্যাণের পর এবার কর্মসংস্থানে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যপূরণ নিয়ে এদিন বৈঠকে বসেছিল রাজ্য ক্যাবিনেট। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রাজ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান নিয়ে এদিনের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।

পুজোর আগে ভাল খবর। আরও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে শিক্ষকের শূন্যপদেও নিয়োদ করা হবে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষা দফতরে উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদা জোনের জন্য ৩,১৭৯টি পদ তৈরি করা হল। পাশাপাশি ৩,৯২৫ শূন্যপদ পূরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাজ্যে মাঝারি শিল্প আনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটা প্রস্তাব এসেছে। কলকাতা এবং কেএমডিএ, দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ায়।

প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ক্ষেত্রে জমির পরিমাণ ধার্য করা ছিল ২০ একর। আরও বেশি বেসরকারি সংস্থাকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে এই ন্যূনতম ২০ একর জমির পরিমাণ কমিয়ে ৫ একর করা হলো। অয়্যারহাউসিং ও লজিস্টিক হাব এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হল। যা আগে ছিল না।

বাংলায় শিল্প আনতে রাজ্য সরকারের তৎপরতা তুঙ্গে। তাই মাঝারি শিল্পতালুক তৈরির ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করল রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালে এ নিয়ে নীতি তৈরি হয়েছে। তাতে বলা হয়েছিল, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা এবং কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেশি জমি না থাকলে শিল্পতালুক তৈরি করা যাবে না। এবার সেই নিয়ম বদল করা হল। নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, এই সমস্ত এলাকায় ৫ একর জমি থাকলেই তৈরি করা যাবে শিল্পতালুক।

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার তৈরির নিয়মেও বদল এল। এতদিন ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দিতে হলে মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে ৩০০ শয্যার হাসপাতাল থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, ৩০০ শয্যার হাসপাতাল না থাকলে সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা যাবে। হাতেকলমে কাজ শেখার জন্য পড়ুয়াদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো যেতে পারে।

Exit mobile version