Recruitemnet Scam: West Bengal Justice Abhijit Gangopadhyay directs to question Manik Bhattacharya from 8.30 pm in jail

Recruitemnet Scam: ‘গা ছাড়া ভাব দেখালে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব,’ মানিক-জেরা নিয়ে CBI-কে হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা শুরু করতে হবে। প্রয়োজনে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া যাবে। প্রাথমিক শিক্ষক ‘পোস্টিং’ মামলায় সিবিআইকে এমনটাই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাইলে সিবিআই নতুন করে এফআইআর দায়ের করতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘কিছুই হচ্ছে না। আমি এটা সহ্য করব না।’’

মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূমসহ বেশ কয়েকটি জেলায় পোস্টিং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দাবি, কাউন্সেলিংয়ের সময় প্রার্থীদের পছন্দের জেলায় শূন্যপদ নেই বলে জানানো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই সেখানে শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছে। যার ফলে অভিযোগ উঠছে, টাকার বিনিময়ে শূন্যপদ বিক্রি করতে পরিকল্পনামাফিক পদগুলি গোপন করা হয়েছে।

এই মামলায় মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এটা একটা নতুন কায়দার দুর্নীতি। এই দুর্নীতিতেও টাকার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। আর গোটা দুর্নীতিটাই মানিক ভট্টাচার্যের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে মনে হচ্ছে। তাই সিবিআইকে এই দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সারবত্তা প্রমাণিত হলে মানিকের বিরুদ্ধে FIR করতে হবে। এই দুর্নীতিতে টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, হয়ে থাকতে কত টাকার লেনদেন হয়েছে তার তদন্ত করবে ইডি। দরকারে মানিককে জেরা করতে পারবেন ইডির গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: UPSC Final Result: প্রকাশিত UPSC-র ফল, তালিকার প্রথম চারজনই নারী

সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে তলব করব। আমি নিজেকে আটকে রাখতে পারব না। আমি দেখছি, আপনারা না পারলে আমি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বিষয়টি বলব। কারণ, সেখান থেকে আপনাদের নিয়োগ করা হয়।’’

অন্যদিকে, শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালতে শুনানির শেষে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১২ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৬ সালে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও শিক্ষা দফতর সেই কাজ করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

১০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের লিগ্যাল এইড সার্ভিসে এই টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পূর্ববর্তী নির্দেশ বহাল রেখে আদালত জানিয়েছে, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ICSE: ২০২৫ সাল থেকে উঠে যেতে পারে আইসিএসই, জানালেন বোর্ডের প্রধান সচিব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest