লকডাউনে বন্ধ স্কুল, নিজ উদ্যোগে ইউটিউবে পদার্থ বিদ্যা পড়াচ্ছেন জুয়েল স্যার, দেখুন চ্যানেলটি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনাকালে কেবল সচল ছিল ‘রাজনীতির খেলা’। বাকি সবকিছুতেই প্রবল ধাক্কা দিয়েছে লকডাউন। অনেকের কাছে করোনার থেকেও ভয়াবহ হল লকডাউন। তা মানুষকে ভাতে মারছে। ক্যান্সার আক্রান্ত রুগীকে কেমো এবং রেডিয়েশন দিয়ে বাঁচানোর যে চেষ্টা করা হয় তা মারাত্মক। এই চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভীতিপ্রদ। দীর্ঘ লকডাউনও তেমনই। এই লকডাউনের মাঝে পরে পড়াশুনার হালও বেহাল। বন্ধ স্কুল কলেজ। বর্তমানে শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন পরিষেবাযুক্ত স্মার্ট ফোন। অনলাইনে শিক্ষকরা বাড়ি থেকে পড়াচ্ছেন। কর্তব্য সম্পন্ন করছেন।

কিন্তু এরই মাঝে কিশোরকণা নবগ্ৰামী আদর্শ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান চৌধুরী পৃথক উদ্যোগ নিয়েছেন। স্কুলের ক্লাস যেমন ছিল তেমনই চলছে তাঁরও। কিন্তু সেখানে থেমে না থেকে তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেলে করেছেন দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পদার্থ বিদ্যার পড়ুয়াদের জন্য। ৩০০ টিরও বেশি ভিডিও এখনও পর্যন্ত সামনে এসেছে। পাঠক্রম অনুযায়ী এবং বর্তমানে বদলে যাওয়া প্রশ্নের ধরণের কথা মাথায় রেখে তিনি পড়াচ্ছেন। ক্লাসগুলি যদি পড়ুয়ারা নিয়মিত দেখে তাহলে তারা একদিকে যেমন পদার্থবিদ্যা শিখতে পারবে, অন্যদিকে ভালো ফল করতেও তাদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।জুয়েল স্যারের চ্যানেলের নাম KAMRUZZAMAN CHOWDHURI(JEWEL)।

আরও পড়ুন: ‘ওপেন বুক সিস্টেমে’ হোক মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক! শিক্ষামন্ত্রীকে পরামর্শ শিক্ষক সমিতির

যেকোনও বিষয় শিখতে হলে প্রথমে সেই বিষয়টিকে ভালোবাসতে হয়। আর এই কাজটিই একজন সফল শিক্ষক খুব ভালোভাবে করেন। তিনি পড়ুয়ার মনে ওই বিষয় সম্পর্কে আগ্রহ বাড়িয়ে দেন। সেটিকে ‘ইন্টারেস্টিং’ করে তোলেন, তাঁর বাকভঙ্গি ও ব্যক্তি বুদ্ধিমত্তয়ায়। সেটাই একজন শিক্ষককে আর একজন শিক্ষক থেকে আলাদা করে তোলে। যদি তা না হত, তাহলে একজন শিক্ষক একটি মানে বইয়ের সমার্থক হতেন। তার বেশি কিছু নয়।

জুয়েল স্যার বর্ধমানের মানুষ। থাকেন তারবাগ সংলগ্ন কাজিরহাটে। ব্যবসায়িক কথা মাথায় রেখে তিনি এই চ্যানেল খোলেননি। ফলে তা আলাদা করে প্রচারের আলো পায়নি। তিনি চেয়েছেন পড়ুয়াদের কল্যাণ হোক। লকডাউন যেন তাদের পড়াশুনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। তবে সঠিক প্রচারের অভাবে বহু পড়ুয়া এই মূল্যবান পাঠদান থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। তবে তাতে থামেননি জুয়েল স্যার।

আড়াই দশকেরও বেশি সময় তিনি পদার্থ বিদ্যা পড়াচ্ছেন। বর্ধমান শহরের ছাত্র মহলে তিনি একটি পরিচিত নাম। তাঁর হাত দিয়ে কত যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বের হয়েছে তার সঠিক হিসাব বোধ করি তাঁর কাছেও নেই। লডাউন জনিত পড়ুয়াদের এই সংকট তাঁকে প্রবল চিন্তায় ফেলেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে সংগত কারণেই তিনি উদ্বিগ্ন। তবে থেমে থাকলে চলবে না। আপাতত যে মাধ্যমকে হাতে পাওয়া যাচ্ছে তার পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে।

এটা ইন্টারনেটের যুগ। বহু সুশিক্ষা ও কুশিক্ষার বাহন এই ইন্টারনেট। আপাতত তাকেই সঠিকভাবে ব্যবহার করে পড়ুয়াদের এগিয়ে যেতে হবে। অনলাইন ক্লাস সব পড়ুয়ায় করছে। কিন্তু সবসময় তা যথেষ্ট হয় না। কোনো একটা সাবজেক্ট ভালোভাবে শিখতে হলে সেই সাবজেক্টের জন্য আলাদা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়ে। তাকে সময় দিতে হবে। সেই প্রয়াস নিয়েই জুয়েল স্যার KAMRUZZAMAN CHOWDHURI(JEWEL) নামে এই ইউটিউব চ্যানেলটি তৈরী করেছেন। ফিজিক্স ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এটি একটি অসাধারণ ব্যক্তি উদ্যোগ। কেবল লিখে একথা বোঝানো যাবে না। এর জন্য অবশ্যই পড়ুয়াদের দেখতে হবে চ্যানেলটি।

আরও পড়ুন: Railways Jobs: ৩,৩২২ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি রেলের, আবেদন ৩০ জুন পর্যন্ত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest