স্কুলশিক্ষা দপ্তরের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) মেনে নিলে ফেব্রুয়ারিতে ফের স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু হয়ে যাবে। শিক্ষাদপ্তরের আশা, স্কুল খুলে গেলে ফের নিয়মিত পঠনপাঠন শুরু হলে ছন্দে ফিরবে পড়ুয়ারাও।
গত মার্চ থেকে রাজ্যে স্কুল বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে পঠনপাঠন চললেও স্কুলে গিয়ে ক্লাস এখনও শুরু হয়নি। তার জেরে মূলত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়েছে। করোনার প্রকোপে স্কুল বন্ধ হওয়ার আগে মাত্র আড়াই মাস ক্লাস করতে পেরেছিল মাধ্যমিক পড়ুয়ারা। উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের সেই সুযোগও হয়নি। যে পড়ুয়াদের প্র্যাক্টিকাল-ভিত্তিক বিষয় আছে, তারা আরও বিড়ম্বনায় পড়েছে।
আরও পড়ুন: আরএসএস-বিজেপি যোগ! টিম থেকে সোনাল শাহ এবং অমিত জানিকে ছেঁটে ফেললেন বাইডেন
এমন পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পরিকল্পনা করছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে আগামী জুনে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে আগে নিদেনপক্ষে দেড় থেকে দু’মাস ক্লাস করতে পারবে পড়ুয়ারা। মিলবে প্র্যাক্টিকালের সুযোগও।
উচ্চ মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার বিষয়ের তালিকা পৌঁছেছে প্রত্যেক স্কুলে। উচ্চমাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা চলবে ১৫ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নিতে হবে ১০ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বর সংসদে পাঠাতে হবে। এই অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের অন্তত কিছুদিন অনুশীলন দরকার বলে দাবি করেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কাছেও সেই দাবি লিখিতভাবে পৌঁছেছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, স্কুলশিক্ষা দপ্তর মুখ্যমন্ত্রীকে একটি নোট পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, স্কুলগুলিতে স্যানিটাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ শেষ। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা পালা করে স্কুলে যাচ্ছেন। লকডাউনের শুরু থেকে নিয়মিত মিড-ডে-মিলের খাদ্য সামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে। এই অবস্থায় কোভিড বিধি মেনে ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হোক। তাতে সুবিধা হবে পড়ুয়াদেরই।
আরও পড়ুন: সাসপেন্স ও হররের পারফেক্ট কম্বিনেশন, এই শীতে দেখে ফেলুন ‘4 Shades of Leap’…