জনমত বলছে এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হবে না। সেই মতামতে গুরুত্ব দিয়েই রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়। গত কয়েকদিন আগে নবান্নে এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে হবে নম্বর। কীভাবে পরীক্ষার মূল্যায়ণ করা হবে তা ৭ দিনের মধ্যে জানানো হবে। হলে বসে প্রশ্নপত্র-উত্তরপত্রে পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে মূল্যায়ণ হবে পরীক্ষার্থীদের, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার কথা ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির।
এই বিষয়ে যখন বিশেষজ্ঞ কমিটি ভাবণ চিন্তা করছে তখন বেশ কয়েকটি পরামর্শ জমা পড়ল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে। যেখানে বলা হচ্ছে হে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক দুই ক্ষেত্রেই পড়ুয়ারা বাড়িতে বসে বই খুলে পরীক্ষা দিক। এমনটাই পরামর্শ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এবছর টেস্ট পরীক্ষাও হয়নি। একেবারে কিছু না লিখে মার্কশিট পেলে পড়ুয়াদের কেরিয়ারের নানা বাধাবিপত্তি আসতে পারে। শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠানো সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পরীক্ষা সংক্রান্ত লিখিত প্রস্তাবে এ কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একবার টেট পাশ করলেই আজীবনের বৈধতা, নয়া ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রকের
বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমেও পরীক্ষা নেওয়া দরকার। সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু। বলেন, “কিছু নম্বরের হলেও বাড়ি থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া দরকার।” পর্ষদ ও সংসদসূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই পরীক্ষা ব্যতীত মূল্যায়ন পদ্ধতি ঘোষণা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে যেন সিবিএসই-র মূল্যায়নের মিল থাকে। রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা দেশের সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যাতে বসতে পারে, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সৌগত বসু জানান, ‘১০০ নম্বরের না হলেও নম্বর কমিয়েই বাড়ি থেকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হোক পরীক্ষার্থীদের। ‘ওপেন বুক সিস্টেমে’ নেওয়া হোক মূল্যায়ন। এ বিষয়গুলি উল্লেখ করেই শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী আমাদের পরামর্শ বিবেচনা করেন কিনা সেটাই এখন দেখার।’
আরও পড়ুন: Visva Bharati: রাজ্য়ে হবে না মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক, তবে দশম দ্বাদশের পরীক্ষা নেবে বিশ্বভারতী!