কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিশন বা ইউজিসি (UGC)। সেখানে বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে ভর্তি প্রক্রিয়া। ১ অক্টোবর শুরু করতে হবে পঠনপাঠন।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার বিভিন্ন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে বৈঠক করে। শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিবদের সেই বৈঠকের পর রাজ্য একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। যেখানে ইউজিসির সুরের সঙ্গে মিলে গিয়েছিল রাজ্যের বক্তব্যও। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার কথা বলা হয়। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির তরফেও সেই নির্দেশিকাই জারি করা হয়েছে।
কোভিডের কারণে এবার অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে শিক্ষাবর্ষ। প্রায় তিন মাসের মতো পিছিয়েছে তা। ইউজিসির নির্দেশিকায় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকেই ক্লাস শুরু করার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইন হোক বা অফলাইন, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতেই হবে। গোটা দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠিয়ে ইউজিসির তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যদি দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়, তাহলে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ক্লাস শুরু করার সুযোগ পাবে। তবে কোন মাধ্যমে ক্লাস হবে, তা ইউজিসির নির্দেশিকায় নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। অনলাইন, অফলাইন নাকি দু’ভাবেই ক্লাস হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরই ছেড়ে দিয়েছে ইউজিসি।
আরও পড়ুন: স্নাতক স্তরে ভরতি শুরু ২ অগস্ট থেকে, নেওয়া যাবে না প্রবেশিকা পরীক্ষা
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে স্নাতক স্তরের প্রথম স্তরে ভরতির প্রক্রিয়া এবং ক্লাস শুরুর যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ইউজিসির নির্দেশিকা মতো পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভরতি সম্পূর্ণ করতে হবে। ক্লাস শুরু হবে ১ অক্টোবর থেকে। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ক্ষেত্রে। রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ক্লাস শুরু হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ভরতি প্রক্রিয়ার দিনক্ষণ পালটানো হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
তারইমধ্যে যে পড়ুয়ারা আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ভরতি প্রক্রিয়া বাতিল করে দেবেন (সংশ্লিষ্ট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেবেন), করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তাঁদের পুরো টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি। তারপর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভরতি প্রক্রিয়া বাতিল করলে সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা কাটা যাবে বলে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ইউজিসির তরফে জানানো হয়েছে, যাবতীয় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি মেনে ১ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ক্লাস, সেমেস্টারের পরীক্ষার পরিকল্পনা করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।
আরও পড়ুন: আজ জয়েন্টের প্রবেশিকা, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে প্রথম অফলাইন পরীক্ষা রাজ্যে