রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল। পরীক্ষা হচ্ছে না সিবিএসই বা আইসিএসসি বোর্ডে। করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে রাজ্য কেন্দ্রের নেওয়া সিদ্ধান্তের ঠিক উল্টো পথে হাঁটতে চাইছে বিশ্বভারতী। বুধবার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের সমতুল পরীক্ষা নেওয়ার কথাই বিবৃতি জারি করে ঘোষণা করল বিশ্বভারতী।
এই মর্মে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ লিখেছে চলতি বছরে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের প্রি ডিগ্রির পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা নেওয়া হবে ৫ জুলাই। ক্রমেই পরীক্ষার দিনক্ষণ জানানো হবে। এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত তাতে জুম বা হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা নিতে পারে বিশ্বভারতী।এই সিদ্ধান্তকে ঘিরেই আপাতত ছাত্র এবং অভিভাবক মহলে ব্যাপক জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে রাজ্য বা কেন্দ্র কোনও পক্ষই যখন পরীক্ষা নিচ্ছে না, বিশ্বভারতী তাহলে উলটো পথে হাঁটছে কেন? অস্বস্তিতে অভিভাববকরাও।
আরও পড়ুন : বড় জয় পেল পর্তুগাল, গোল করে আলি দাইয়ের রেকর্ডের আরও কাছে রোনাল্ডো
এই পরীক্ষা দিতে যে ছাত্রছাত্রীরা এবছর প্রস্তুত নয় তা গত ৭ জুন জানানো হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। এই দিন বিশ্বভারতী ছাত্রছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের কাছে মেইল করে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। সেই মেইলে বলা হয় কোভিড পরিস্থিতিতে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ফাঁক থেকে গিয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ যেন অনুগ্রহ করে প্রি-ডিগ্রি পরীক্ষা বাতিল করে। কিন্তু পরীক্ষা বাতিল তো করছেই না বিশ্বভারতী, উল্টে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর।
উল্লেখ্য করোনা অতিমারির কারণে ইতিমধ্যেই আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে৷ অধিকাংশ রাজ্যও নিজেদের বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে৷ ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভেবে রাজ্যও তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিজেই সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷। তবে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন কোন পদ্ধতিতে হবে, সাতদিনের মধ্যে তা চূড়ান্ত করে জানিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী এবং দুই বোর্ডের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রয়োজনে সিবিএসই কোন পদ্ধতিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করছে, সেদিকেও নজর রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় দেরির জেরে ছাত্রছাত্রীদের যাতে ভবিষ্যতে অসুবিধা না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন : টাকা তোলার নিয়মে বদল আনছে এসবিআই, চেকবইয়ের ক্ষেত্রেও গুণতে হবে বাড়তি টাকা