SSC গ্রুপ-ডি(SSC Group D Recruitment case) নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের (SSC Calcutta High Court) ৷ বুধবার মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের তীব্র বিরোধিতা করেন ৷ দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ৷ ৩ সপ্তাহের জন্য সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় ৷ সমস্ত নথি আদালতের কাছে সিল ভরা খামে রেজিস্ট্রার হাইকোর্টের কাছে জমা থাকবে। আগামী সোমবার মামলার পর্ববর্তী শুনানি৷
মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ হয়েছে এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলায় সিবিআইয়ের হাতে প্রাথমিক তদন্ত বা অনুসন্ধানের ভার কলকাতা হাই কোর্ট দিয়েছিল সোমবার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ জানিয়েছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের হলফনামায় স্পষ্ট যে, স্কুলের গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ছািল না।
শুধু তা-ই নয় ওই নিয়োগের সঙ্গে আর্থিক বিষয়ও জড়িত। বেঞ্চ বলে, যে দু’টি সংস্থা বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, সে-দু’টিই রাজ্যের। তাই মামলাটির অনুসন্ধান করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। যদিও তারা এখনই কাউকে গ্রেফতার বা কারও বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ২১ ডিসেম্বর সিবিআই প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। তার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত। তবে রাজ্যে শিক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার ভার যে সিবিআই-এর হাতেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিল হাই কোর্টের একক বেঞ্চ। এই রায়ের বিরুদ্ধেই ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথা ভাবে রাজ্য।
এদিন আদালতে সিবিআই অনুসন্ধানের বিরুদ্ধে রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, “খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ক্ষেত্রেই সিবিআই হয়! অথচ এক্ষেত্রে সরাসরি সিবিআইয়ের হাতে অনুসন্ধানের দায়িত্ব চলে গেল! রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা করা হল না। সুপ্রিম কোর্টের মতে তদন্ত ও অনুসন্ধানের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। আমারও বলছি তদন্ত হোক। আদালতের নজরদারিতে হোক। এই তদন্তের জন্য আদালত পছন্দ মতো পুলিশ অফিসার নিয়োগ করুক। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিয়ে তদন্ত হলেও আমাদের আপত্তি নেই।”