ঈদে বন্ধ থাকুক জমায়েত, বর্ধমানে জেলা শাসককে আবেদন IMAM’S WELFARE ASSOCIATION-র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: লকডাউনে বেড়ে গিয়েছে ৩১ মে পর্যন্ত। যার অর্থ ঈদের নামাজ জমায়েত করে হবে না। স্বাভাবিক কারণেই মন খারাপ অনেকেরই। তবে চতুর্থ দফা লকডাউন ঘোষণার আগেই পূর্ব বর্ধমানের BENGAL IMAM’S WELFARE ASSOCIATION স্মারক লিপি জমা দিয়েছিল জেলা শাসকের কাছে। জানিয়েছিল ঈদের জন্য লকডাউন শিথিল করার কোনও প্রয়োজন নেই।

আগে মানুষ বাঁচুক। তা দেখতে হবে সবার আগে। ১৭ মে লকডাউন নিয়ে কি সিদ্বান্ত হবে তা ইমাম সংগঠনের জানা ছিল না। তা আদৌ বাড়ানো হবে কিনা জানতো না কেউই। কিন্তু সংগঠনের তরফে আগেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে অন্তত ঈদ পার করে যেন লকডাউন তোলা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছিল অন্তত ৩০ মে পর্যন্ত তা বাড়িয়ে দেওয়া হোক।জেলা শাসক যেন সংগঠনের এই বার্তা কেন্দ্র সরকারে কাছে পৌঁছে দেন,সেই অনুরোধও জানানো হয় স্মারকলিপিতে।

আরও পড়ুন: ত্রাণ দিয়ে ছবি তোলায় বিশ্বাসী নই, ছোট লাগে নিজেকে, ট্রোলারদের জবাব দিয়ে ‘রিয়েল হিরো’ দেব

ইসলাম বিশ্বজনীন ধর্ম। এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হজরত মুহাম্মদ (সা) আবির্ভুত হয়েছিলেন বিশেষ কোনো জনগোষ্ঠীর জন্য নয়। তিনি এসেছিলেন বিশ্ববাসীকে সরল পথ দেখাতে। সহিষ্ণুতা ইসলামের অন্যতম পরিচয়। তবে অবশ্যই সেই সহিষ্ণুতা কাপুরুষতার নামান্তর হবে না। সেই ফারাকটুকু বুঝে চলা একজন মুসলিমের কাজ।

একজন প্রকৃত মুসলিম কখনও নিজের খুশির জন্য অন্যের অসুবিধা করতে পারে না। তাবলে কি আমরা এমন মুসলিম দেখিনা। নিশ্চয় তারা রয়েছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে মূল ইসলামের সম্পর্ক ক্ষীণ। এরা সেই অসাধু বিধায়ক-সাংসদদের মত যারা সংবিধানের কসম খেয়ে দুর্নীতি করে। বিদ্বেষ ছড়ায়। তারপরও নিজেদের দেশপ্রেমী বলে জাহির করে।

সত্যি কথা বলতে কি লকডাউনের সময়েও যে বিদ্বেষ ছড়ানো হল তাতে এদেশের মুসলিমরা অনেকেই হতাশ। নিজামুদ্দিন নিয়ে যে নির্লজ্জপনা চলল তা চেতনা সম্পন্ন বহু মানুষকে হতাশ করেছে। মুসলিমরা অনেকেই তখনই আশংকা করেছেন লকডাউন তুলে নেওয়ার পর ঈদ পালিত হবে ফের বিদ্বেষে ভরে যাবে সোশ্যাল সাইটের ওয়াল। নিমিত্তের ভাগিদার হয়ে কি লাভ?

ইমামদের এই স্মারক লিপি জমা দেওয়া প্রসঙ্গে আইনজীবী মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ইসলাম কখনও কারও অসুবিধা করার কথা বলে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহিষ্ণুতা ও সৌভ্রাতৃত্বের ধর্ম।’ আইনজীবী সৈয়দ আশিক রসূল বলেন, ‘ করোনা সংকটের সময়ে ইমাম সংগঠন চেতনার যে প্রমাণ রেখেছে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। নিজামুদ্দিন চোখ খুলে দিয়েছে।’ সমাজকর্মী তথা সাংবাদিক মনোয়ার হুসেইন বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ঈদের নামাজ হলে অহেতুক মুসলিমদের নিশানা করা হত। করোনা সংক্রমণের দায় ফের একবার তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হত, ঠিক নিজামুদ্দিনের মত।’

আরও পড়ুন: বাড়ছে না বাস ভাড়া, ট্রামের সঙ্গে নামছে হাজার অ্যাপ ক্যাব,জানাল রাজ্য সরকার

Gmail 2

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest