মত্ত অবস্থায় তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন সুশান্তের দিদি, নয়া অভিযোগে ঝড় তোলার চেষ্টা রিয়ার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমশ রহস্য বাড়ছে। মঙ্গলবার সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী।

গভীর রাতে বিছানায় মত্ত অবস্থায় রিয়াকে জড়িয়ে ধরেছিলেন সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা, মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এমনটাই জানালেন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। পাশাপাশি সতীশ এ-ও বলেন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন না রিয়া, অভিনেতা দিনো মোরিয়াকে চেনেন, তবে ইন্ডাস্ট্রি সূত্রেই।  সতীশের কথায়: “সুশান্ত এবং রিয়া দু’জন দু’জনকে অনেক দিন ধরেই চিনতেন। তাঁরা সম্পর্কে আসেন গত বছর এপ্রিলে। ২০১৯-এর ডিসেম্বরেও তাঁরা বান্দ্রার মাউন্ট ব্ল্যাঙ্কে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।” তিনি আরও বলেন, রিয়া ও সুশান্ত একসঙ্গে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করার আগে সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা এবং তাঁর স্বামী সিদ্ধার্থ সুশান্তের সঙ্গে থাকতেন।

রিয়া জানিয়েছেন, এই ঘটনা গতবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের। সেই সময় লিভ-ইন রিলেশনে ছিলেন সুশান্ত-রিয়া। অভিনেতার বান্দ্রার ফ্ল্যাটেই থাকতেন অভিনেত্রী। সেই সময় একদিন প্রিয়াঙ্কাও ছিলেন ওই ফ্ল্যাটে। গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় বিছানায় রিয়াকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। রিয়ার আইনজীবীর কথায় অভিনেত্রী সেদিন এতই অস্বস্তিতে পড়েছিলেন যে প্রিয়াঙ্কাকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন। তারপর নিজেই ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যান। এই ঘটনা সুশান্তকে জানান রিয়া।

আরও পড়ুন: শুভশ্রীর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ, টুইটারে জানালেন স্বামী রাজ

আর তারপরেই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তুমুল বচসা হয় ভাইয়ের। রিয়ার অভিযোগ, সেই সময় থেকেই সুশান্তের পরিবারের চক্ষুশূল হয়ে যান তিনি। যদিও রাজপুত পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ সাময়িক ভাবে সুশান্ত রিয়ার কথায় ভুল বুঝেছিলেন। পরে তিনি দিদিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।

পাটনায় সুশান্তের বাবা কে কে সিং রিয়ার বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করেছিলেন সেখানে তাঁর অভিযোগ ছিল সুশান্তকে পরিবারের থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন রিয়া। এ দিন নিজের বিবৃতিতে রাজপুত পরিবারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, সুশান্ত অনেকদিন ধরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন। ফোন করে দিদিদের কাছে অনেক বার কান্নাকাটিও করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সুশান্তের দিদি মিতু সিং তাঁর বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আসতে রাজি হন। সেই সময় সুশান্ত রিয়াকে বলেন নিজের বাবা-মায়ের সঙ্গে গিয়ে থাকতে। সেই জন্যই ৮ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যান তিনি।

রিয়া চলে যাওয়ার ৬ দিন পর ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে অভিনেতা আত্মহত্যা করেছে। গলায় ফাঁস লাগার ফলে দমবন্ধ হয়ে সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। রিয়ার আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, নানা ব্যাপারে বিপর্যস্ত ছিলেন রিয়াও। তাঁরও প্যানিক অ্যাটাক হতো। চিকিৎসাও চলছিল।

আরও পড়ুন: মৃত্যুর দিনে সুশান্তের বাড়িতে রহস্যময়ীর ঘোরাফেরা! অবশেষে সামনে এল পরিচয়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest