Site icon The News Nest

দেবের উদ্যোগে এবার দুবাই থেকে ফিরলেন ১৭১ জন বাঙালি, ‘রিয়্যাল হিরো’ বলল টুইটার

The News Nest: শুরু হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো দিয়ে। দেশ কিংবা দেশের বাইরে, বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, তাঁর নির্বাচিত এলাকা ঘাটালে শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছনোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাংসদ দেব অধিকারী। কিন্তু এইটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ রইল না। আটকে থাকা অসহায় মানুষরা যোগাযোগ করতে শুরু করেন তাঁর সঙ্গে।

তিনিও বার বার বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। এবারও ঠিক তেমনটাই করলেন সাংসদ- অভিনেতা দেব।  দুবাইয়ে আটকে থাকা বাঙালিদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন তিনি। বন্দে ভারত মিশনের অধীনে দুবাইবাসী ১৭১ জন বাঙালিকে বাড়ি ফেরালেন দেব। রবিবার গভীর রাতে এই ১৭১ জনকে নিকে দুবাই থেকে এক বিমান এসে পৌঁছায় কলকাতায়। এঁরা প্রত্যেকই কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলের বাসিন্দা। 

লকডাউনে পায়ে হেঁটে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার করুণ ছবি থেকে হতাশা ঝাঁকিয়ে ধরেছিল দেবকে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধ পরিকর দেব এরপর নিজের চেষ্টায় নেপালে আটক কয়েক শো পরিযায়ী শ্রমিককে নিরাপদে ঘরে ফেরান, জম্মু থেকেও বিশেষ বাসে করে বাংলায় ফিরেয়ে আনেন সেখানে আটক প্রায় চল্লিশ জনকে। 

সোশ্যাল মিডিয়াতে এরপর দেবের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন রাশিয়ায় আটকে থাকা ৭০ জন বাঙালি পড়ুয়া। দেবের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও টুইট বার্তায় সাহায্যের আবেদন করেছিল এই পড়ুয়ারা কিন্তু লাভ হয়নি। কিন্তু দেবের প্রচেষ্টাতেই বন্দে মাতরম মিশনের আওতায় ঘরে ফেরে তারা। বাংলার মানুষের ঘরে ফেরার কাণ্ডারী হতে পেরে উচ্ছ্বসিত দেব নিজেও। দুবাইতে আটক এই ১৭১ জনকে দিন কয়েক ধরেই দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন দেব।

আরও পড়ুন: সম্পর্ক ভেঙে গেলেও কমেনি ভালোবাসা! অঙ্কিতার ঘরের দেওয়াল জুড়ে শুধুই সুশান্ত, দেখুন ছবি…

রবিবার রাতে টুইট বার্তায় অভিনেতা লেখেন, একটু সময় লাগল তবে অবশেষে আমরা পৌঁছাতে পারলাম! আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি লকডাউন শুরুর আগে থেকে দুবাইতে আটকে থাকা ১৭১ জন আজ রাতের বিমানেই কলকাতা ফিরছেন এবং নিজেদের পরিবারের কাছে সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে যাবেন। তবে তার আগে নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন’।

দেবের এই উদ্যোগে আপ্লুত দুবাইতে আটক সেই বাঙালিরা। টুইট বার্তায় সুপারহিরো দেবকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তাঁরা।

আরও পড়ুন: সোনু সুদ-অক্ষয় কুমারের জন্য ভারত রত্ন চান অনুরাগীরা, দাবি উঠল ট্যুইটারে!

Exit mobile version