প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ফারুক জাফর(Farrukh Jaffar)। শুক্রবার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। গুলাবো সিতাবো এবং সুলতান-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। অভিনেত্রীর বড় মেয়ে মেহরু জাফর(Mehru Jaffar) জানান, তার মা অসুস্থ ছিলেন এবং এই মাসের শুরুর দিকে তাঁকে সাহারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেহরু বলেন, ‘গত ৪ অক্টোবর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি অসুস্থ ছিলেন। অক্সিজেন টানতে পারছিলেন না। এদিন সন্ধ্যে ৬টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি’।
২০২০ সালের জুন মাসে মুক্তি পায় সুজিত সরকার পরিচালিত ‘গুলাবো সিতাবো’। ছবিতে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan), আয়ুষ্মান খুরানার মতো তারকা থাকা সত্ত্বেও আলাদাভাবে বেগমের চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন ফারুখ জফর। ছবির সুবাদে সেরা সহ-অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পেয়েছিলেন তিনি। জৌনপুরের জমিদার পরিবারে তাঁর জন্ম। ১৬ বছর বয়সে লখনউ চলে আসে তাঁর পরিবার। স্বাধীনতা সংগ্রামী সৈয়দ মহম্মদ জাফরকে বিয়ে করেন ফারুখ জফর। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে অল ইন্ডিয়া রেডিওর কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন ফারুখ জফর। তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওর প্রথম কর্মীদের মধ্যে একজন ছিলেন।
আটের দশকের ক্লাসিক ‘উমরাও জান’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে নিজের সফর শুরু করেন ফারুখ জফর। উমরাও অর্থাৎ রেখার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তাঁর দুই দশক পর ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া শাহরুখ খানের ‘স্বদেশ’ সিনেমায় অভিনয় করেন। ‘পিপলি লাইভ’, ‘তনু ওয়েডস মনু’, ‘আম্মা কি বোলি’র মতো সিনেমায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছে।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর প্রয়াণে ‘গুলাবো সিতাবো’র চিত্রনাট্যকার জুহি চতুর্বেদী লিখেছেন, “আপনার মতো কেউ ছিল না, কেউ হবেও না… আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য অনেক ধন্যবাদ… আল্লার আরেক দুনিয়া ভাল থাকবেন… আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি বেগম।”