মানসিক অবসাদে ভুগছেন? মন খুলে কথা বলুন, ফোন ধরবেন ঋতাভরী!

উদ্যোগের সমস্ত খরচ বহন করছেন ঋতাভরী ও বন্ধু রাহুল। আগামী দিনে মনোবিদদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনা আবহে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়ছেন অনেকে। লকডাউনের প্রভাব পড়ছে আমাদের স্বাভাবিক জীবনেও। অসুস্থতা, বেকারত্ব, প্রিয়জনের আকস্মিক মৃত্যু, ওয়ার্ক ফ্রম হোম এই সব যেন নিত্য দিনের জীবনে একটা বড় প্রভাব ফেলছে। অনেকই ছুটছেন মনোবিদদের কাছে। এবার সেই সকল মানুষের কথা ভেবে নয়া উদ্যোগ অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং তাঁর বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত।

কঠিন পরিস্থিতিতে রাগ, দুঃখ, হতাশা, একাকীত্বের মতো সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী। চালু করলেন ‘হিল উইথ মি’ (Heal With Me) নামে প্রজেক্ট। এমন এক হেল্পলাইন নম্বর যেখানে বিনামূল্যে অভিজ্ঞ মনোবিদ এবং কাউন্সিলরদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যাবে। ২ জুন থেকে চালু হবে ‘হিল উইথ মি’।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন ঋতাভরী। তিনি লেখেন, ‘একটা বছর ধরে আমাদের সবারই ওপর দিয়ে একটা দুঃসময় চলেছে। কোভিড প্যান্ডেমিক, তার জন্য লকডাউন, কাজ বন্ধ, স্কুল কলেজ পরীক্ষা বন্ধ, বন্ধ আমাদের সামাজিক মেলামেশার স্বাভাবিক জীবন। যেন একটা অন্ধকার টানেলের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। এর ফলে কম বেশি সকলেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। যারা প্রিয়জন হারিয়েছে, নিজেরা ভুক্তভোগী বা এই পরিস্থিতিতে দমবন্ধ অবস্থা বোধ করছে, সবার দিকেই আমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তোমাদের সব রকম মনোকষ্টে, হতাশায়, মনের জোর হারানো একাকীত্বের সুরাহা করতে চাই। কথা বলো মনোবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সাথে। কোন খরচ দিতে হবেনা। তার জন্য আমি আছি, আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত আর ‘সহায়তা’ আছে। কল করো: ১৮০০২০৩৯৮৬৫। এই অন্ধকার টানেলটা থেকে বেরিয়ে আসার একটা যৌথ প্রচেষ্টা!! মন ভালো থাকলে পৃথিবীটাই সুন্দর হবে!! ঋতাভরী চক্রবর্তী।’

আরও পড়ুন: ‘৮ বছর হয়ে গেল তুমি নেই’, ঋতুপর্ণের মৃত্যুদিনে স্মৃতিচারণায় আবেগঘন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা

ঋতাভরী বলেন, “আমি-আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত এই উদ্যোগ নিয়েছি। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যে কেউ আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে (১৮০০২০৩৯৮৬৫) ফোন করতে পারেন। অভিজ্ঞ মনোবিদরা থাকবেন ফোনের ওপারে। আমাদের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছে সহায়তা ক্লিনিক।”

উদ্যোগের সমস্ত খরচ বহন করছেন ঋতাভরী ও বন্ধু রাহুল। আগামী দিনে মনোবিদদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “কত কথা এমন হয় যা বাড়ির মানুষদেরকে বলে বোঝানো যায় না। কিন্তু সে কথাগুলো শোনা জরুরি, মন হালকা হয়। সে সব কথাগুলো শুনবে মনোবিদ। যথাযথ পরামর্শ দেবেন। আসলে মন থেকে মানুষ সুস্থ হলে তবেই তো সম্পূর্ণভাবে সুস্থ। মানুষকে সুস্থ রাখার তাই এ প্রয়াস।”

আরও পড়ুন: কেমন সঙ্গী পছন্দ? জানালেন টলিউডের সবচেয়ে ‘কাঙ্খিত’ নায়িকা মিমি!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest