অন্তর্বাস থেকে হেয়ারকাট, নেটিজেনদের ট্রোলের নিশানায় স্বস্তিকা, সামাল দিলেন কড়া হাতে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় যা করেন তাতেই বিতর্ক! তিনি বরাবরই ঠোঁটকাটা, প্রতিবাদী। বহুবার অন্যায় অপমানের জবাব দিয়েছেন নিজের মুখে। পর্দার বহু নায়িকা বিপদে পড়লে নায়ক এসে উদ্ধার করার জন্য অপেক্ষা করলেও, তিনি পর্দার বাইরে নিজেই গলা তুলেছেন নিজের হয়ে। তিনি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি একাধিক বার সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা বিষয়ে তাঁর হাঁকানো সপাট উত্তর মন ভরিয়ে দিয়েছে ভক্ত-অনুরাগীদের।

এবারেও তেমনই একটা ঘটনার সাক্ষী সোশ্যাল মিডিয়া। বরাবরই নিজেকে নিয়ে, নিজের বিভিন্ন লুক নিয়ে বিশেষত চুল নিয়ে নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করে আসছেন স্বস্তিকা, সেগুলি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করেন। এবারেও তাই করেছিলেন। নিজের মর্জিতে ‘আন্ডারকাট হেয়ারস্টাইল’ করে, দাপটের সঙ্গে সে ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। নো মেকআপ লুকের সেই ছবি যেমন নজর কেড়েছে অনেকের তেমনই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বাকিরা ট্রোল করতেও ছাড়েনি।

ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওড়ার জন্য ডানার কোনও প্রয়োজন নেই, আমার এই মাথাই যথেষ্ঠ’। ব্যস ছবিটি আপলোড করতে না করতেই শুরু হয়ে যায় ট্রোলিং। পরিচিত চুলের ছাঁট থেকে একটু অন্য রকম ভাবে নায়িকাকে দেখেই নানারকম বিচারসভা বসে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারই জবাব দিলেন অভিনেত্রী নিজেই। টুইট করে সকলের সব অনুমান ও গুজবে জল ঢেলে দিলেন কড়া ভাষায়। তিনি লেখেন, “এটা আমার মাথা, আমার চুল, যা খুশি তাই করব। আপনাদের প্রশ্নের উত্তর মিলেছে? শান্তিতে থাকুন।”

আরও পড়ুন: ‘লাভ’-এ জড়ালেন রণবীর ও শ্রদ্ধা কাপুর! বলিউড পেল নয়া জুটি…

এক অনুরাগী প্রশ্ন করে,’দিদি তোমার ক্যান্সার নাকি? তোমার ডিপি-তে চুল কাটা তাই বললাম, একটু কনফার্ম করে দেবে’!এরপর তিনি উত্তর দেন,’আমার আর কিছু বলার নেই। মানুষের চিন্তাধারা ভগবান মর্ত্যে নেমে এলেও পাল্টাতে পারবেন না’।

এখানেই শেষ নয়, ট্যুইটারে তাঁকে এরপর লম্বা পোস্ট লিখতে হয়-‘না আমার ক্যান্সার নেই, (আমি সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করি যেন এটি কোনওদিন না হয়), আমি ড্রাগ নিই না, আমি ধূমপান করি না, আর আমি কখনও পুনর্বাসন কেন্দ্রে যাইনি। এটি আমার মাথা এবং আমার চুল। আর তাই আমি এর সঙ্গে যা খুশি করতে পারি, যেমন ইচ্ছে হয় করব। সব প্রশ্নের উত্তর পেলেন তো? নিন, এবার মন শান্ত করে মাথা ঠান্ডা করে লম্বা একটা শ্বাস নিন’। এরপর অবশ্য জনৈক ওই ব্যক্তি তাঁর ট্যুইটটি মুছে ফেলেন।

এর পর শুরু হয় ‘তাসের ঘর’- নিয়ে বিতর্ক।সদ্য প্রকাশিত এনাউসমেন্টে ‘সুজাতা’ ব্রা-এর স্ট্র্যাপ দেখিয়েছেন পোস্টারে। ব্যস, রে রে করে উঠেছে নেটপাড়ার একাংশ। এক নেটাগরিকের মন্তব্য, ‘‘তোমার কালো অন্তর্বাস আমি ভীষণ হতাশ!’’ স্বস্তিকা, পরিচালক এবং হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মকে ট্যাগ করে আরেক নেটাগরিকের প্রশ্ন, ‘‘পরিচালক কেন পোস্টারে ব্রা-এর স্ট্র্যাপ দেখালেন? খুব জানতে ইচ্ছে করছে। তাহলে কি ধরে নেব, গল্পের সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে!’’

টুইটারে সপাট জবাব তাঁর, ‘‘নায়কদের কেন খাটো আন্ডারওয়্যারে দেখানো হয়? তাঁদের খালি গা কেন বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভে সাহায্য করে? কোনও দিন জানতে চেয়েছেন? না। কারণ, এই দৃশ্যগুলো এত কুল অ্যান্ড ক্যাজুয়াল যে কারোর মাথাতেই আসে না, এ সব নিয়েও কথা বলা যেতেই পারে। কিন্তু মেয়েদের পোশাকের ফাঁক দিয়ে অন্তর্বাস উঁকি দিলেই লোভী চোখের উঁকিঝুঁকি! হাজারো প্রশ্ন। কেন? এটাকেও কেন খুব স্বাভাবিক ঘটনা বলে মানতে পারেন না কেউ!’’

আরও পড়ুন: সম্পর্কে ছিলেন সুশান্ত -সারা, মুম্বই মাফিয়াদের চাপে সরে যেতে বাধ্য হন সইফ কন্যা, দাবি বন্ধুর

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest