Aindrila Sharma Mother Shikha Sharma Blames One Doctor For Aindrila Death

Aindrila Sharma: ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু? চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ঐন্দ্রিলার মায়ের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

হাজার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন ঐন্দ্রিলার(Aindrila Sharma) পরিবার। ফিরে পাননি মেয়েটাকে, লড়াই করেও সে ফিরল না। হাজারো চিকিৎসা, পন্থা অবলম্বন করেও সে ফেরেনি। আজ প্রায় ১৪ দিন, ঐন্দ্রিলা আর নেই।নিজের মেয়ের এই মৃত্যু যেন একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না শিখা শর্মা। দায়ী করলেন চিকিৎসকদের।

সম্প্রতি অভিনেত্রীর স্মরণসভায় যোগ দিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শিখা। বলেন, “আমার মেয়েকে বাঁচানো যেত। শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকের জন্য সেটা সম্ভব হল না। উনি দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়েকে ডিপ কোমায় পাঠিয়ে দিলেন।” শিখা শর্মা সরাসরি আঙুল তুলেছেন হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের দিকে। তাঁর কথায়, “আমার পাশে শুয়ে ছিল মেয়েটা। ১০ মিনিটের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেল। হাত, পা নাড়াতে পারছিল না। ব্রেন স্ট্রোক…।” শিখা আরও বলেন, “ওকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সার্জারি হয়েছিল। ডা. মল্লিক সাফল্যের সঙ্গে ওই অপারেশন করেন। অমায়িক মানুষ উনি। আমাদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু, একজন আমার মেয়েটাকে বাঁচতে দিল না।”

আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan: শ্যুট শেষে মক্কায় শাহরুখ, উমরাহ করতে গেলেন ‘বাদশা’

তিনি আরও জানান, ‘দুজন ডাক্তারের মধ্যে ইগোর সমস্যা চলছিল। যিনি অপারেশন করেছেন সেই ডা. ঘোষ অমায়িক। কিন্তু য়েই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ও ভর্তি ছিল, সেই ডা. পিয়া ঘোষ আমাদের সঙ্গে একেবারে সহযোগিতা করেননি। এমআরআই করাটাই ওর পক্ষে ঠিক হয়নি। আমরা এই নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি নিজেদের মধ্যে। সবাই কো-অপারেট করেছেন কিন্তু একজন ইগোর কারণে সহযোগিতা করেননি। উনিই দায়িত্ব নিয়ে ঐন্দ্রিলাকে ডিপ কোমায় পৌঁছে দিলেন। ডা. পিয়া ঘোষ কতটুকু চিকিৎসক, কতটুকু মানবিক জানি না। অনেক ডাক্তার ওর চিকিৎসা করেছে কিন্তু সেটা ফলো করা হয়নি। আমার বড় মেয়ে ডাক্তার, অনেক অনুরোধ করেছিল ও নিজেও। কিন্তু উনি শোনেননি। ঐন্দ্রিলা বাঁচতে পারত। ঐ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতই না। বাঁচতে পারত। নাহলে রিভার্স করত। ওইটিকু একটা মেয়ে ১০টা অ্যাটাক সহ্য করেছে, কতটা শক্ত হার্ট ওর। এমনিতে সাধারণত দুবার হলেই মরে যায়। ওর লাং শক্ত ছিল, কিডনি শক্ত ছিল। একটা ব্রেনের অপারেশন। সেটা হয়নি ঠিক করে। ইগো একটা ২৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে নিল।’

ঐন্দ্রিলার মায়ের ক, ‘কথা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। গ্রিন করিডোর করে নিয়ে যাওয়ার কথাও হয়েছিল। কিন্তু স্টেবল হওয়ার দরকার ছিল। সেটা ছিল না ও। অরিজিৎ সিং-ও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। মুম্বইয়ের ডাক্তারের সঙ্গেও কথা হয়েছিল। ডা. বিশ্বাস আশ্বস্ত করেছিলেন ঐন্দ্রিলার অবস্থা একটু স্টেবল হলেই আমরা ওকে এয়ারবাসে করে নিয়ে যেতে পারব। যিনি হাসপাতালে ইনচার্জ ছিলেন ঝটঝট করে হেলথ সাপোর্টগুলো খুলে দিলেন। পিয়া ঘোষ যে কতটা দক্ষ ডাক্তার সেই বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে।’

আরও পড়ুন: Hansika Motwani: লাল লেহেঙ্গায় বউ, আইভরি শেরওয়ানিতে বর! দেখুন হনসিকার বিয়ের ছবি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest