বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই মারাঠা রাজনীতি সরগরম অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের গ্রেফতারি ঘিরে। মাদক কাণ্ডে আরিয়ানের গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর অভিযোগ করে এসেছে এনসিপি। এবার এনসিপির তরফে নবাব মালিক এনসিবির বিরুদ্ধে আরও একটি বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, প্রমোদতরী থেকে আটক করা বেশ কয়েকজনকে ছেড়ে দিয়েছেন এনসিবির আধিকারিকরা। কী কারণে তাঁদের ছাড়া হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন নবাব।
নবাব মালিকের দাবি, ওইদিন মোট ১১ জনকে আটক করেছিল এনসিবি। মুম্বই পুলিশের কাছেও এই তথ্য রয়েছে। কিন্তু ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন, ঋষভ সচদেব, প্রতীক গাবা এবং আমির ফার্নিচারওয়ালা। এদের মধ্যে ঋষভ বিজেপি নেতা মোহিত ভারতীর আত্মীয়।
কার নির্দেশে তাঁদের ৩ জনকে ছাড়া হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন নবাব। তাঁর দাবি, বিজেপি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই তাঁদের ছাড়া হয়েছে। নবাবের বক্তব্য, এনসিবি হোয়াটসঅ্যাপের উপর ভিত্তি করে তদন্ত চালাচ্ছে। তা সত্ত্বেও ওই তিনজনের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়নি কেন? এনসিপি মুখপাত্রের দাবি, প্রমোদতরীতে অভিযানের ঘটনাটি ভুয়ো। পুরো ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত।
এর আগে এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মনু ভানুশালী নামক একজন বিজেপি নেতাকে দেখা গিয়েছিল অভিযুক্ত আরবাজ মারচেন্টকে এনসিবি কার্যালয়ে নিয়ে যেতে। এরপর মালিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ভানুশালীর ছবিও দেখান।
এদিকে আরও জানা গিয়েছে, আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ প্রদানকারী গোয়েন্দা পুণের এক জালিয়াতি মামলায় পলাতক। সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয় যাতে দেখা যায় কেপি গোসাভি একজন প্রাইভেট গোয়েন্দা সেলফি তুলছেন ধৃত আরিয়ান খানের সঙ্গে। এনসিবির অভিযানে কেপি গোসাভি এবং বিজেপি নেতার থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এনসিপি। এরই মাঝে এনসিবির তরফে জানানো হয়, গোসাভি ও বিজেপি নেতা ভানুশালী মামলায় সাক্ষী।