নবারুণ ভট্টাচার্যের জন্মদিনে প্রটোকল মেনে শুরু হল ‘মহানন্দা’ ছবির শুটিং, শ্রদ্ধা জানালেন অরিন্দম শীল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

স্বনামধন্য সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জীবনকথা এবং তাঁরই লেখা গল্পকথা মিশে যাবে সেলুলয়েডের পর্দায়। ছবির নাম ‘মহানন্দা’। পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন অরিন্দম শীল। ছবির ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল গত বছরে। চলতি বছরে এপ্রিল মাসে উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে গার্গী রায়চৌধুরি-দেবশঙ্কর হালদারদের নিয়ে কিছুদিন চলেছিল শুটিংও। তবে কোভিডের কোপে আসে শুটিংয়ের বিঘ্নতা।  ঠিক ছিল পরিস্থিতি একটু ঠিক হলে মে মাসের মাঝামাঝি আবার ফ্লোরে ফিরবে ‘মহানন্দা’। তবে তা হয়নি ফিরতে ফিরতে সময় নিল আরও এক মাস। আজ, বুধবার থেকে শুরু হল ছবির শুটিং। দক্ষিণ কলকাতার ২৩ পল্লীর কাছে পড়ল শুটিংয়ের যাবতীয় সরঞ্জাম। আবার সেটে ফিরলেন মহাশ্বেতা দেবী (গার্গী রায়চৌধুরি) এবং বিজন ভট্টাচার্য (দেবশঙ্কর হালদার)।

আজ বাস্তবের মহাশ্বেতা এবং বিজন পুত্র নবারুণ ভট্টাচার্যের জন্মদিন। আজকের দিনে শুটিং শুরুটা কি একেবারে জেনেবুঝেই…প্রশ্নটি ছিল পরিচালক অরিন্দমের কাছে। তিনি বললেন, “অ্যাবসোলিউড কো-ইনসিডেন্স। গতকাল থেকে শুটিং শুরুর কথা ছিল, কিন্তু হল না। এটা বোধ হয় হওয়ার ছিল। নবারুণ ভট্টাচার্যকে উৎসর্গ করে আমরা শুটিং শুরু করব।”

১৯৬২ সালে বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে মহাশ্বেতার। সংসার ভেঙে গেলেও ছেলে নবারুণের জন্য খুব ভেঙে পড়েছিলেন। সে সময় তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করতেও গিয়েছিলেন, চিকিৎসকদের চেষ্টায় বেঁচে যান। ‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসে তিনি ছেলে থেকে বিচ্ছিন্ন হবার যন্ত্রণার প্রকাশও করেছিলেন। সে কথা টেনে অরিন্দম বলেন, “মহাশ্বেতা লিখেছিলেন, আমি আমার ঘর, আমার সংসার, আমার বাচ্চা সবাইকে ছেড়ে চলে আসি। বিবাহ বিচ্ছেদ সহজ কথা ছিল না সে সময়ে। তার থেকেও বড় নিজের ছেলেকে ফেলে চলে আসেন মহাশ্বেতা। ফেলে আসার পর ডিপ্রেশনে চলে যান লেখিকা। এই অসম্ভব ভালবাসা এবং ডিপ্রেশন। এবং আত্মহত্যার চেষ্টা। তাই কিশোর নবারুণ ছবিতেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।”

আরও পড়ুন: Srabanti Chatterjee: নতুন প্রেমিক অভিরূপের জন্মদিনে কী করলেন শ্রাবন্তী? প্রকাশ্যে ছবি

কোভিডের সমস্ত প্রোটোকল মেনে শুরু হল ‘মহানন্দা’ ছবির শুটিং। পরিচালক বললেন, “এখনও অনেকে ইন্স্যুরেন্স না করেই কাজ করছেন। বোধ হয় ফেডারেশন নিয়ে কোনও নির্দেশিকা মেলেনি। কিন্তু আমরা সবার ইন্স্যুরেন্স করিয়েছি এবং ভ্যাকসিনেশন দেওয়া হয়েছে।”

গার্গী বললেন, ‘‘মহাশ্বেতা দেবীর আদর্শই এ ছবির উপজীব্য। তাই তাঁর আদলেই ছবিতে আমার লুক। প্রত্যেকেই এই লুকটা নিয়ে ভেবেছে। পরিচালক অরিন্দম শীলের ইনপুট তো ছিলই। মেকআপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু, হেয়ারস্টাইলিস্ট হেমা মুনশি সকলে মিলেই তৈরি করেছে ‘মহানন্দা’র লুক। এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে চশমা আর ঘড়ি। আর শাড়ি পরার ধরনও বদলেছে। মহানন্দার বিয়ের পরের পোশাকে পাটভাঙা শাড়ি, আবার মধ্যবয়সে তিনি যখন মানুষের মধ্যে মিশে যাচ্ছেন, তখন তাঁর পোশাকও হয়ে যাচ্ছে সাদামাঠা।’’

‘ঝাঁসীর রাণী’ উপন্যাসটিও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছবির লুক তৈরিতে সাহায্য করেছেন মহাশ্বেতা দেবীর পৌত্র তথাগত ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন: Corona Vaccine: কসবায় করোনা ভ্যাকসিন জালিয়াতির শিকার মিমি চক্রবর্তী!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest