ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে পুলিসের হাতে। জানা গিয়েছে, হার্ট, কিডনি সহ মাল্টি অর্গান ফেলিওর এবং লিভার সিরোসিস হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রী আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মাটিতে পড়ে যাওয়ার সময় মাথা ফেটে যায় তাঁর। ঠোঁট ও নাকেও আঘাত পান অভিনেত্রী। মনে করা হচ্ছে, মদ্যপ অবস্থায় বেসামাল হয়ে পড়ে যান। কারণ, তাঁর শরীর থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ২ লিটার মদ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ওয়াইনের সঙ্গে ভদকা আর তার সঙ্গে মধু- এই মিশিয়ে নেশা করতেন অভিনেত্রী আরিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তকারীরা বলছেন, এটা একটা বিশেষ ধরনের নেশা। যার ফলে শরীরে ‘সিনার্জিক এফেক্ট’ তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে সিনার্জিক এফেক্ট তৈরি হলে নেশার মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
তদন্তকারীরা আরও দেখেছেন, আরিয়ার মুখের মধ্যে ছিল গুটকা, তামাক। ফ্ল্যাটের যে ঘর থেকে আরিয়ার দেহ উদ্ধার হয়. সেখানে পড়েছিল অর্ধেক মদ ভর্তি একটি গ্লাস। রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মেঝেতে। তবে যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার পাশের ঘরে বসেই নেশা করছিলেন আরিয়া। প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দারা মনে করছেন, একাই নেশা করছিলেন আরিয়া। নেশা করতে করতেই পাশে ঘরে উঠে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: টেলিপর্দার নতুন জুটি শ্রুতি-দিব্যজ্যোতি, আসছে নয়া সিরিয়াল ‘দেশের মাটি’, জানুন গল্প…
উদ্ধার হয়েছে ওষুধ, চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র। হেপাটিইটিস-বি রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিডনি-র সমস্যাও ছিল। প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর কারণ হিসাবে দুর্ঘটনাজনিত তত্ত্ব সামনে এলেও, অন্য দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলে জানার চেষ্টা চলেছে, ‘লাভ সেক্স অউর ধোঁকা’-র অভিনেত্রী আর্যা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন কি না।
গতকাল, শুক্রবার পরিচারিকা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, আর্যা বাইরের লোকের সঙ্গে খুব একটা মিশতেন না। ওই দিন কলিংবেল টিপলেও কেউ দরজা খোলেনি। ফোনেও সাড়া পাওয়া যায়নি। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায়, এই ঘটনার সঙ্গে খুনের কোনও যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন না তদন্তকারীরা। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: অনলাইন হেনস্থার বিরুদ্ধে এবার সরব মিথিলা, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন ভিডিও বার্তা