মাদক মামলায় আরিয়ান খান যে ষড়যন্ত্র করেছেন, প্রাথমিকভাবে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি, যাতে আদালত নিশ্চিত হওয়া যায় যে একই বেআইনি কোনও কাজ করার লক্ষ্য ছিল আরিয়ান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার। বম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনের বিস্তারিত রায়ে এমনটাই উঠে এল।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এনসিবি) যে জবানবন্দি জমা দিয়েছিল, তা নিয়ে আদালত বলেছে, পুলিশের নেওয়া জবানবন্দির কোনও আইনি ভিত্তি নেই। তা কেবলমাত্র তদন্তের প্রয়োজনে ব্যবহার হতে পারে। ১৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারপতি নীতিন সামব্রে জানিয়েছেন, আরিয়ান খানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে এমন কিছু আপত্তিকর পাওয়া যায়নি, যার উপর ভিত্তি করে বলা যায়, আরবাজ ও মুনমুনের সঙ্গে মিলে আরিয়ান কোনও ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছেন। আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা একই প্রমোদতরীতে ছিলেন। কেবলমাত্র এই যুক্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগের ভিত্তি নেই, বলেও রায়ে লিখেছে হাই কোর্ট।
গত ২ অক্টোবর মুম্বই উপকূলে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান, মুনমুন, আরবাজ-সহ একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেন এনসিবি-র তৎকালীন জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। পর দিন তাঁদের গ্রেফতার দেখানো হয়। নিম্ন আদালতে একাধিক বার জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ার পর বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আরিয়ানরা। সেখানে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান শাহরুখ-তনয় । ৩০ অক্টোবর বাড়ি ফেরেন তিনি। তার পর থেকে প্রতি শুক্রবার এনসিবি কার্যালয়ে হাজিরা দিচ্ছেন আরিয়ান।
সেই জামিনের মামলারই নির্দেশনামা জারি করল বম্বে হাই কোর্ট।