Site icon The News Nest

জামিন পেলেন না আরিয়ান খান, NCB হেফাজতে থাকতে হবে আরও ৩ দিন

Aryan Khan drug case

জামিন পেলেন না আরিয়ান খান (Aryan Khan)। ৭ অক্টোবর পর্যন্ত নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হেফাজতে থাকতে হবে শাহরুখপুত্রকে।  আরিয়ানের দুই সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দিয়েছে মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড কোর্ট।

শনিবার রাতে মুম্বইয়ের কাছে আরব সাগরে ভাসমান এক প্রমোদ তরী থেকে আটক করা হয় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। রেভ পার্টিতে মাদক সেবনের অপরাধে আটক করা হয় তাঁকে। তারপর টানা ১৬ ঘণ্টা জেরার পর রবিবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ান ও তাঁর দুই বন্ধুকে। রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তরফ থেকেও ১ দিনের এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ ছিল।

এদিন আদালতে আরিয়ান, আরবাজ ও মুনমুন ছাড়াও আরও ৬ ধৃতকে হাজির করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছেন আজ সকালেই। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার সময় তাঁর কাছ থেকে বেশ ভালো পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে বলেই আদালতকে জানিয়েছেনঅ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল অনিল সিং।

আদালতের কাছে অনিল সিং জানান, ‘NCB-র পক্ষ থেকে আরিয়ানের ফোন আটক করা হয়েছে। সেখানে অনেক সন্দেহজনক চ্যাট আছে যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মাদক ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের। তাই সকলকে একসঙ্গে বসিয়ে এনসিবি-র দফতরে জেরা করা খুব দরকার।’ সেই ফোনের থেকে উদ্ধার হওয়া চ্যাটও আদালতে দেখান তিনি।

অনিল জানান, হোয়াটস অ্যাপ চাটের থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, টাকা-পয়সা লেনদেনের কথাও হয়েছে সেখানে। এমনকী, আরিয়ানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক যোগের আভাসও মিলেছে। সিং আদালতকে জানান, আরিয়ানের বিরুদ্ধে পাওয়া সব প্রমাণ NDPS অ্যাক্ট অনুসারে শাস্তিযোগ্য ও রিয়া চক্রবর্তীর কেস অনুসারে জামিন অযোগ্য অপরাধ। অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা খুব প্রয়োজন। কারণ, চ্যাট থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক নাম (code names) পাওয়া গিয়েছে, যা মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে চ্যাট করার সময় ব্যবহরা করা হত।

অন্য দিকে, আরিয়ানের পক্ষ থেকে আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে জানান, ‘ধৃতদের মধ্যে একমাত্র আরবাজকে আমি চিনি। যার কাছ থেকে ৬ গ্রাম চারস উদ্ধার হয়েছে। বাদবাকি কেউ আমার চেনা নয়। এজেন্সি কেবলমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ওপর ভিত্তি করতে পারে না। আমার বা আমার আশেপাশের কারও থেকে এর বেশি কিছু পাওয়া যায়নি।’

আরিয়ানের পক্ষ থেকে সতীশ মানশিন্ডে আরও জানান, ‘আমাকে এনসিবি-র তরফ থেকে আগেই আটক করা হয়েছিল, ক্রুজে নয়। আমি একজন অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমার জন্য এই কারণেই ক্রুজের স্পেশ্যাল সুইট রাখা ছিল।’

সঙ্গে শাহরুখ-পুত্রের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে কোনও মাদক পাচারকারী বা কোনও এই ধরনের সংস্থার যোগাযোগ নেই। এমনকী, আরিয়ানের ব্যাগ থেকেও কিছু উদ্ধার হয়নি। নিষিদ্ধ বস্তু হিসেবে যেগুলো ধার্য করা করা হয় যেমন চারস বা এমডি তাঁর বা তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। আরবাজের কাছ থেকে যা পাওয়া গিয়েছে তা সামান্য।

Exit mobile version