Site icon The News Nest

Breaking: মাদক চক্রে যোগের প্রমান নেই, অবশেষে জামিন পেল আরিয়ান খান

aryan khan ncb 1633680768

দীর্ঘ ২৬ দিনের টানাপোড়েনের পর  মাদক কাণ্ডে জামিন পেল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। তৃতীয় দফার শুনানির দিন বম্বে হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করল আরিয়ান খান এবং  তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার। তবে জামিন মঞ্জুর হলেও এদিন বিস্তারিত রায় দেয়নি আদালত। তাই আজই জেল থেকে ছাড়া পাবেন না আরিয়ানরা। আগামিকাল জামিন মঞ্জুরের বিস্তারিত  কারণ জানানোর পরেই আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পাবেন আরিয়ান।

বৃহস্পতিবার এনসিবি তাঁদের বক্তব্য পেশ করে বম্বে হাইকোর্টে। অনিল সিং আদালতে জানান, আরিয়ানের কাছে থেকে মাদক পাওয়া না গেলেও আরবাজের কাছে থেকে পাওয়া গেছে এবং আরিয়ানই তাঁদের বলেছে যে মাদক পার্টিতে আরবাজের কাছ থেকে যে মাদক পাওয়া গেছে, পার্টিতে সেই মাদক সেবনের পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। এমনকি আরিয়ানের চ্যাট থেকে কমারশিয়াল কোয়ান্টিটি মাদক কেনার সূত্র পাওয়া যায় বলে দাবি করেন তিনি। এনসিবির দাবি আরিয়ানের বিরুদ্ধে তাঁদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে।

অন্যদিকে মুকুল রোহাতগি এদিন আদালতে বলেন, আরিয়ানের সঙ্গে আটক হওয়া যে পাঁচজনের থেকে মাদক পাওয়া গেছে তার দায় আরিয়ানের উপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানতেনই না, তাঁর সঙ্গে যাঁরা ঐ পার্টিতে আছেন তাঁদের কাছে মাদক আছে। পাশাপাশি তিনি বলেন অচিতের থেকে মাত্র ২.৪ গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে। একজন মাদকপাচারকারীর কাছে মাত্র ২.৪ গ্রাম মাদক থাকা কি যুক্তিযুক্ত, প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল।

গত ২ অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয়েছিল আরিয়ানকে। তার পর ৩ তারিখ তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। মোট দু’বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

মাদক-মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সইল তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ তোলার পর জলঘোলা শুরু। সমীরের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি আর এক সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে আটক করেছে পুলিশ। পুণে পুলিশের তরফে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ব্যক্তি সে-ই যিনি এনসিবি দফতরে আরিয়ানের সঙ্গে নিজস্বী তুলেছিলেন।

তা হলে কি তদন্তকারী আধিকারিকের ভূমিকা ধোঁয়াশায় বলেই আরিয়ানকে জামিন দিল আদালত?

Exit mobile version