স্বস্তি পেলেন না আরিয়ান খান। শাহরুখ-পুত্রের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল না আদালত। বৃহস্পতিবার আরিয়ানকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। এই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই শাহরুখ নিযুক্ত আইনজীবী আরিয়ানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন। শুক্রবার ছিল তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি। আরিয়ানের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে। কিন্তু এদিনও আরিয়ানের জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। তাই আপাতত আর্থার রোড জেলের কোয়ারেন্টাইন সেলে ঠাঁই হচ্ছে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছেলের। তাঁর দুই সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধমেচার জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেনি আদালত।
শোনা গিয়েছে, এদিন আরিয়ানের জামিনের দাবিতে আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে এজলাসে জানান, যবে থেকে শাহরুখপুত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ বা তথ্য পাওয়া যায়নি যে কারণ দেখিয়ে তাঁকে জেলে রাখা যেতে পারে। এরপরই মানেশিণ্ডে দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেও তদন্তের কাজ চালানো যেতে পারে। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এবার সেশন কোর্টে আরজি জানাতে হবে আরিয়ানের আইনজীবীকে।
হোয়াটসঅ্যাপে যে কথোপকথনের জেরে আরিয়ানকে মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা নেহাতই ‘নির্দোষ’ ফুটবল নিয়ে ছিল বলে দাবি করেছিলেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। কিন্তু সরকারী আইনজীবী অনিল সিং মনে করছেন, ফুটবল নয়, সাঙ্কেতিক ভাষায় কোনও মাদক চক্রের সঙ্গে কথোপকথন চালাতেন আরিয়ান। সেই বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
আরিয়ানকে জামিন দিলে তথ্যপ্রমাণ নয়ছয় হতে পারে এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার ব্যঘাত ঘটতে পারে। শুক্রবার আদালতে এই যুক্তি দেখিয়েছেন অনিল সিং। অন্য দিকে আরিয়ানের আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি, প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে মানেই তথ্যপ্রমাণ নয়ছয় করবেন, তা ধরে নেওয়া ভুল।
আপাতত আরিয়ান এবং বাকি অভিযুক্তরা তিন থেকে পাঁচ দিন আর্থার জেলে নিভৃতবাসে থাকবেন। ইতিমধ্যেই সেখানে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের।