অজান্তেই বিজেপির প্রচারমূলক গানে দর্শনা-বিশ্বাবসুরা! বিরক্তি প্রকাশ তারকাদের

অনিন্দ্যর সাফ বক্তব্য, ‘বিজেপি-র প্রচারে ওই বিজ্ঞাপনের অংশ ব্যবহৃত হয়েছে। এটা অনভিপ্রেত’।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

একুশের ভোটকে পাখির চোখ করে সোনার বাংলা গড়ার ডাক তো আগেই দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই লক্ষ্যেই প্রচারমূলক গানও বেঁধে ফেলেছে দল- ‘উন্নয়নের কাণ্ডারি হব, মন ভরা বিশ্বাস, কান্না ভুলে দু’হাত তুলে ধরব আজকে আকাশ’। মোদীর বিভিন্ন ঝলক উঠে এসেছে গানের ভিডিয়োয়, যা সম্প্রতি টুইটারে শেয়ার করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও সেই গানের ভিডিয়োতে আচমকাই তাল কাটে। কারণ সেখানে দেখা যায় টলি-পাড়ার ৪ পরিচিত মুখ- দর্শনা, বিবৃতি, বিশ্বাবসু ও সোমরূপকে। প্রশ্ন জাগে তবে কি শীঘ্রই বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছেন চারজনে?

এই ব্যাপারে আনন্দবাজার ডিজিট্যালকে তাঁরা জানিয়েছেন, ক্লিপিংটি একটি বিজ্ঞাপনী ভিডিয়োর অংশ। সেই বিজ্ঞাপন পরিচালনা করেছিলেন চন্দ্রবিন্দু খ্যাত গায়ক,গীতিকার তথা পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। এরপর অনিন্দ্যর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় বছর পাঁচেক আগে একটি রঙের সংস্থার জন্য দুর্গা পুজো স্পেশ্যাল শর্টফিল্ম বানিয়েছিলেন তিনি। সেই ‘পুজো এল ফিরে’ থেকেই সংগ্রহীত ওই অংশটি। সেই প্রচারমূলক ভিডিয়োতে দেখা মিলেছিল দর্শনা বণিক, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বাবসু বিশ্বাস ও সোমরূপ দাসের।

অনিন্দ্যর সাফ বক্তব্য, ‘বিজেপি-র প্রচারে ওই বিজ্ঞাপনের অংশ ব্যবহৃত হয়েছে। এটা অনভিপ্রেত’। যদিও এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে সেই অভিযোগ করেননি পরিচালক। কপিরাইটের প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণরূপে সেই সংস্থার বিষয় যাঁদের হয়ে কাজটি তিনি করেছিলেন।

দর্শনা বনিক, এব্যাপারে একেবারেই অবগত নন। শুধু জানিয়েছেন, রাজনীতিতে আসতে আপতত ইচ্ছুক নন তিনি। বছর ১০ পরে ভেবে দেখতে পারেন। এমনিতে দর্শনা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নায়িকা হিসাবেই পরিচিত।

আরও পড়ুন: ধুতি-পাঞ্জাবিতে জীবন্ত ‘উত্তম’ শাশ্বত, পাশেই ‘সাবিত্রী’ দিতিপ্রিয়া, হাজির ‘সুচিত্রা’ ঋতুপর্ণাও

বাবুল সুপ্রিয়র ‘বহু যুগের ওপার হতে’, হরিহরণের ‘ইশক’, বিভিন্ন গানের ভিডিয়োয় সম্প্রতি কাজ করেছেন বিবৃতি। এ ছাড়াও ‌অনীক চৌধুরীর ‘মিস খান অব তো হস দো’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বিবৃতি জানালেন, ‘‘ভিডিয়োটি দেখে নেতিবাচক ভাবনা আসছে না মনে। ছবিটি তৈরি হয়েছিল জনগণের জন্য। রাজনৈতিক কর্মীরাও তো তাঁদেরই মধ্যে পড়েন। এ বার তাঁরা কী ভাবে তাকে ব্যবহার করবেন, সেটার দায় নেই আমার। আর যদি রাজনীতির কথা বলা হয়, আমি কোনও দিন কোনও দলে যোগ দেব না। একেবারেই অরাজনৈতিক একটি মানুষ আমি।’’

বিশ্বাবসু আপাতত ‘জি বাংলা’-র দু’টি ধারাবাহিকে একসঙ্গে অভিনয় করছেন। ‘রাণী রাসমণি’-র ভূপাল থেকে ‘মিঠাই’-এর সন্দীপ— ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন বিশ্বাবসু বিশ্বাস। তাঁর মতে, ‘‘আমি এক জন সম্পাদক হয়ে বলতে পারি, এই কাজটি নান্দনিক ভাবে বিরক্তিকর। সম্পূর্ণ অন্য উদ্দেশ্যে বানানো একটি ছবির থেকে একটা অংশ তুলে নিয়ে অন্য কাজে লাগানোটা ঠিক নয়। এ ছাড়া এই ভিডিয়োটি নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’’ রাজনীতির প্রসঙ্গে তাঁরও একই মতামত। বিজেপি তো দূর অস্ত, কোনও রাজনৈতিক দলেই যোগ জেওয়ার পরিকল্পনা নেই। অদূর বা সুদূর কোনও ভবিষ্যতেই দলীয় রাজনীতিতে পা রাখার ইচ্ছে তাঁর নেই।

সোমরূপের নতুন ছবির শ্যুটিং চলছে। ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ইশা সাহা ও বাসবদত্তা চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘তরুলতার ভূত’ ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। সোমরূপের কথায়, ‘‘মূল স্রোতের রাজনীতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। কোনও দিন সেই সম্পর্কটি গড়ে তুলতেও চাই না। তবে ব্যক্তিগত ভাবে এই ভিডিয়োটি নিয়ে বললে, কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচারমূলক ভিডিয়োতে থাকতে চাই না। তাই এই ঘটনাটি জানার পর মোটেও ভাল লাগেনি আমার।’’

আরও পড়ুন: দিল্লিতে বাবা-মায়ের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানালেন কিং খান

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest