রোগীর জ্ঞান ফেরাতে বাথরুম স্ক্রাবার দিয়ে চিকিত্সা! নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক ‘কৃষ্ণকলি’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কোমায় চলে যাওয়া রোগীর জ্ঞান ফেরাতে ডাক্তারবাবু সাহায্য নিচ্ছেন বাথরুম পরিষ্কার করার স্ক্রাবারের! এমন দৃশ্য বাস্তবে দূরঅস্ত্, কল্পনারও অতীত। কিন্তু এমনটাই যে ঘটেছে পর পর দু’সপ্তাহের সেরা মেগা ‘কৃষ্ণকলি’-তে! সোশ্যালে সেই দৃশ্য ছড়াতেই ব্যঙ্গের পাশপাশি সমালোচনায় মুখর নেটাগরিকেরা। বাংলা ধারাবাহিকের মান কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

কেমন সেই দৃশ্য? মেগার একটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছে, এক জন চিকিৎসক কোমায় আচ্ছন্ন রোগীর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছেন। সেখানেই মেশিনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এক জোড়া বাথরুমের স্ক্রাবার! টুইটার-ফেসবুক জুড়ে ছেয়ে গিয়েছে মিমে। ব্যাপক হারে ট্রোল করা হচ্ছে এই দৃশ্যকে। পয়সা বাঁচাতে করোনার সময় প্রযোজক এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে তা ভেবেই ঠাট্টা জুড়ে দিয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা।

https://twitter.com/r_bhaduri/status/1296500367715262464?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1296500367715262464%7Ctwgr%5E&ref_url=https%3A%2F%2Fbangla.hindustantimes.com%2Fentertainment%2Fzee-bangla-serial-krishnakali-uses-scrubbers-as-defibrillator-to-save-a-patient-s-life-netizens-in-splits-31597995166738.html

হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গেলে কোনও রোগীকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসাবে চিকিত্সকরা ডিফিব্রিলেটর ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। আজকে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ডিফিব্রিলেটরের কী জিনিস তা কারুরই অজানা নয়, তাই দর্শককে বোকা বানানো যে মোটেই সহজ নয় তা হারে হারে টের পাচ্ছে কৃষ্ণকলির ক্রিয়েটিভ টিম। অনেকে যেমন বিষয়টি নিয়ে মজা করছেন, তেমনই কেউ কেউ বেশ সিরিয়াস ভঙ্গিতেই এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তবে বাথরুম স্ক্রাবারকে কীভাবে হাসপাতালের প্রপ (Prop) হিসাবে ব্যবহার করা হল তা মানতে পারছেন না কেউই!

এমন ‘সিলি মিসটেক’ কী করে ‘কৃষ্ণকলি’র মতো ধারাবাহিকে দেখা গেল? প্রশ্নটা প্রযোজক সুশান্ত দাসকে করতেই ভুল স্বীকার করে প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি। তার পর জানালেন, ‘‘দ্রুত কাজ তুলতে অনেক সময়েই আমরা ‘চিটিং’ করি, প্রকৃত জিনিসের বদলে তার বিকল্প ব্যবহার করে। এটাও সেই রকমই ছিল। পাঁচ দিনে সাত দিনের কাজ করতে হচ্ছে। না চাইলেও এ ধরনের ত্রুটি হয়েই যায়।’’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest