গত শুক্রবারই ঘোষিত হয়েছিল ৫২তম ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশন্যাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘ইন্ডিয়ান প্যানোরমা’ বিভাগের ছবির তালিকা। সেখানে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলার পাঁচটি ছবি-সহ মোট ২৫টি ছবি। কিন্তু আচমকাই সেই তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হল পরিচালক তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ‘ডিকশনারি’ ছবিটি।
বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পরিচালক ব্রাত্য এবং প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান। বৈঠকে ব্রাত্য জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে মেল পাঠিয়ে তাঁকে জানানো হয়, ডিকশনারি দেখানো যাবে না। পরিবর্তে অন্য ছবি পাঠাতে হবে। সেই সুযোগ না থাকায় উৎসব থেকে বাদ দেওয়া হয় তাঁর ছবি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, তাঁর নামের বানানে ভুল ছিল। এই অজুহাতে বাদ পড়েছে তাঁর ছবি।
কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাঁর ছবি বাদ দেওয়া হল। এবং এই বাদ দেওয়ার কারণ ‘অত্যন্ত হাস্যকর’। তিনি আরও যোগ করেন, ‘ছবিটি নির্বাচিত হওয়ার আগে তাঁরা হয়ত বুঝতে পারেননি। তার পর তাঁদের কাছে আমার রাজনৈতিক পরিচয় গিয়েছে। এবং ছবিটি বাদ দেওয়া হয়েছে।…আমার একটা রাজনৈতিক পরিচয় অবশ্যই রয়েছে। আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। আমার নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য যদি আপনারা ছবি বাদ দিতে চান দিন। তবে আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বিজেপি বিরোধিতা অব্যাহত থাকবে’।
তিন মাস পর গোয়ায় নির্বাচন, সেখানে জমি তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। গোয়া নির্বাচনকে তৃণমূল পাখির চোখ করাতেই কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সে রাজ্যের চলচ্চিত্র উত্সব থেকে বাদ বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর ছবি? পরিচালক বললেন, ‘গোয়ায় আমরা যাবই, সরকারও গঠন করব। এটা অবশ্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে। আমার রাজনৈতিক পরিচয় ওনাদের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
‘ডিকশনারি’র শুধু পরিচালকেরই রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে তেমনটা নয়, ছবির লিডিং লেডিও তৃণমূলের সাংসদ। টিভিনাইন বাংলার কাছে নুসরত বলেন, “আমরা খারাপ কাজ করেছি বলে যদি বাদ দেওয়া হয়ে থাকে সেটা ক্রিয়েটিভ ডিসিশন। কিন্তু যদি রাজনৈতিক কারণে ছবিটি বাদ দেওয়া হয়ে হয়ে থাকে তবে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” তিনি তৃণমূলের সাংসদ, ব্রাত্য বসু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, সেই কারণেই কি রোষের মুখে ছবি? নুসরতের উত্তর, “সেই বিষয় প্রকাশে পেয়েই যাবে। আগে সত্যি সামনে আসুক, তারপর এই নিয়ে বাকি যা বলার বলব।”