আজ অভিনেতা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। ৪০-এ পড়লেন তিনি। বয়স নিয়ে কোনওকালেই ছুঁৎমার্গ নেই তাঁর। লুকোছাপা করেননি। বরং স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করেছেন মনের ভাব। মাত্র ১৮ বছরে বিয়ে, দুই বছরের মধ্যে বিচ্ছেদ, কেরিয়ার, কাজ, সব কিছু সামলে আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত। টলিউডের গণ্ডী পার করে বলিউডেও সাম্রাজ্য বিস্তার করেছেন তিনি। জন্মদিনে জেনে নিন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে কিছু না জানা তথ্য।
প্রায় দুই দশক ধরে নিজের অসামান্য অভিনয় দক্ষতা এবং অন্য ধারার স্টাইল স্টেটমেন্টের জন্যে লাইমলাইটে রয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। একাধিক চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের মাধ্যমে বারবার ছুঁয়েছেন দর্শকদের মন। ছোট পর্দা, বড়পর্দা এবং বর্তমানে OTT প্ল্যাটফর্মেও সর্বত্র বিরাজ করছেন স্বস্তিকা। মনের কথা অকপটেই বলে ফেলেন এই নায়িকা। সেইজন্যে প্রায়শই থাকেন বিতর্কের শীর্ষে। এমনকি ইন্ডাস্ট্রিতে ‘ঠোঁট কাটা’ নামেও পরিচিত সে।
তবে কেরিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে চলেছেন নানা টানাপড়েন। বহুবার নাম জড়িয়েছে একাধিক তারকাদের সঙ্গে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে গায়ক প্রমিত সেনের সঙ্গে সাত পাঁকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তবে দু-বছরের মধ্যেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সিনেমার সেটে নানা অভিনেতার সঙ্গে স্বস্তিকার ডেটিং-এর গুঞ্জন শোনা যেত।
স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকা হিসেবে প্রথমবার স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে জিতের বিপরীতে ‘মস্তান’ দেখা যায়। ছবিটি দারুণ হিট করে। জিত এবং স্বস্তিকার জুটি টলি টাউনে গল্পের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে।সেই সময় এই জুটিকে প্রায়ই রাত পর্যন্ত একসঙ্গে পার্টি করতে দেখা যেত। তাঁদের প্রেমের গুঞ্জনও শুরু হয় টলিগঞ্জে। যদিও এই নিয়ে মুখ খোলেনি কেউই। তবে একটা সময় ব্রেক-আপের খবরও চাউর হয়। যদিও তাঁরা কেন আলাদা হয়েছিলেন তা এখনও অজানা।
‘ব্রেক ফেল’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন পরমব্রতর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বস্তিকা। টিনসেল টাউনে অন্যতম সেরা জুটি হিসেবে পরিচিত হয় তাঁরা। সর্বসম্মুখে সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেন অভিনেত্রী।তবে স্বস্তিকার ‘বিচ্ছিন্ন’ স্বামী পরমব্রতর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন। পরমব্রত স্বামী-স্ত্রীর সুসজ্জিত সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরিয়েছেন এমন অভিযোগ করে। এরপরই বিস্টোলে ফিল্ম মেকিং নিয়ে পড়তে যান পরম, এবং সেখানে তাঁর বিদেশিনীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
২০১১ সালে পরিচালক সুব্রত সেনের ‘নন্দিনী’ ছবির শ্যুটিং চলাকালীন অভিনেতা দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিনেত্রী। তবে অন্যমনস্কা স্বস্তিকা সেই সময় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয় পড়তে দিব্যেন্দু সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ইতি ঘটে এমনটাই জানা যায়। যদিও অনেকেই বলে দিব্যেন্দু অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যাকে স্বস্তিকার জন্য ছেড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বাস কন্ডাকটর, কুলি থেকে ‘থালাইভা’…. রজনীকান্তের জার্নি ঠিক যেন সিনেমা
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বস্তিকার সম্পর্ক টিনসেল টাউনে বড় গসিপ তৈরি করেছিল। যদিও পরিচালক সম্পর্ক নিয়ে ভীষণ সিরিয়াস ছিলেন তা বলাই বাহুল্য। স্বস্তিকার শান্তিনিকেতনে ‘বসন্ত উৎসব’ এর শ্যুটিং চলাকালীন ভালোবাসার জন্য সেখানে গিয়ে হাজির হন সৃজিত। তবে তাঁদেরও সম্পর্কের ইতি ঘটে। সৃজিতের ‘জাতিস্মর’ ছবির প্রোমোশনের সময় অনুপস্থিত ছিলেন স্বস্তিকা।
সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে বিচ্ছেদের ওপর সুমন মুখোপাধ্যায়ের কাছাকাছি আসেন স্বস্তিকা। দুজনের একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন দারুণ ছিল। গুজব শুরু হয় সুমনের বিয়ে নিয়ে। যদিও স্বস্তিকার সঙ্গে থাকার কথা দিয়েছিলেন সুমন, তবে বিবাহিত পুরুষকে নিয়ে ইনসিকিউর ছিলেন স্বস্তিকা এমনটা শোনা যায়।
কিন্তু স্বস্তিকা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছিলেন। অভিনেত্রী রাগের বশত ভাঙা বোতলের কাঁচ দিয়ে নিজের হাত কেটে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বেশ কিছু দিন এমনও খবর রটেছিল টলিগঞ্জে। হাসপাতালে সুমন দেখা করতে যাননি তাঁর সঙ্গে। ঘনিষ্ঠদের থেকে ফোনে খোঁজ নিতেন, এরপর সম্পর্ক থেকে সরে আসেন স্বস্তিকা।
আলোচনা শীর্ষ থাকলেও ‘বোল্ড অ্যান্ড হট’ অভিনেত্রী স্বস্তিকা, তাঁর ব্যক্তিত্বের জন্যে সবসময় ইন ও এভারগ্রীন।
আরও পড়ুন: মাথায় বিশৃঙ্খলা, মনে স্বর্গ, কোলে কুকুরছানা! এভাবেই নিজেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন স্বস্তিকা