একবছর ধরে বলিউডের অন্দরমহল ইরফান শূন্য। কোন খাতে জীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ইরফান, অভিনেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করে সেকথা জানালেন স্ত্রী সুতপা শিকদার এবং ছেলে বাবিল।
জীবনের শেষ দু’বছরে অত্যন্ত যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন এই অভিনেতা, জানিয়েছেন বাবিল। ইরফানপুত্র লিখেছেন, ‘কেমো তোমাকে ভেতর থেকে দগ্ধ করছিল। ছোট ছোট বিষয়ে তুমি আনন্দ খুঁজছিলে, তা সে নিজের টেবিল তৈরি হোক বা নিজের জার্নালে লেখা। বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই একটি ঘরানার সমাপ্তি হয়েছে। একটা ফুল স্টপ। কেউ তাঁর জায়গা কোনও দিন নিতে পারবেন না। কেউ নিতে পারবে না। তুমি ছিলে আমার প্রিয় বন্ধু, সঙ্গী, ভাই, বাবা। আমি তোমাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। আমি তোমাকে মিস করছি। শাহজাহান মুমতাজকে যতটা মিস করত তার থেকেও বেশি। আমি হয়ত মহাকাশে একটা মিনার তৈরি করতে পারতাম যা আমাদের ব্ল্যাক হোলের কাছে নিয়ে যেত। কিন্তু আমি সেখানে তোমার সঙ্গে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা সেখানে একসঙ্গে সেখানে যেতে পারতাম।’
আরও পড়ুন: Oscars 2021: অস্কার গ্যালারিতে শ্রদ্ধার্ঘ সৌমিত্র-সুশান্ত-ঋষিকে, ‘সম্মানিত হলাম’ বললেন পৌলমী
ইরফানের স্ত্রী সুতপা জানান, হাসপাতালে ইরফানে জীবনের শেষ মুহূর্তে কোনও প্রার্থনা করা নয়, অভিনেতার প্রিয় গান গাইছিলেন তিনি এবং উপস্থিত পরিবারের লোকজন। তিনি লিখেছেন, ‘গত বছর আজকের দিনে আমি এবং আমার বন্ধুরা তোমার জন্য তোমার প্রিয় গান গাইছিলাম। নার্স অদ্ভূতভাবে দেখছিলেন। কারণ কঠিন সময়ে তাঁরা সাধারণত প্রার্থনা করা দেখতেই অভ্যস্ত…’। ইরফানের স্ত্রী আরও লেখেন, ‘তোমার সংখ্যার উপর দীর্ঘদিনধরেই কৌতুহল ছিল। তোমার জীবনের অন্তিম দিনে তিনটে ১১ ছিল। অনেকেই বলেন, এই নাম্বারটা খুব রহস্যজনক- ১১.১১.১১ (এই সময় অভিনেতার মৃত্যু হয়)।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ তে নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার ধরা পরে ৫৪ বছর বয়সি অভিনেতার। এরপর একবছর বিদেশে থেকে চিকিৎসা করেছিলেন। মার্চ মাসে মুক্তি পায় ইরফানের আংরেজি মিডিয়াম। তখনও শরীর অসুস্থ ছিল বলে তাঁকে প্রচারে দেখা যায়নি। যদিও করোনার কবলে কয়েকদিন পরই বন্ধ হয়ে যায় এই ছবির প্রদর্শন। ২০২০ সালে আজকের দিনেই মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন: ইরফানহীন এক বছর! ফিরে দেখা এই ব্যতিক্রমী অভিনেতার জীবন…