টলিপাড়ায় যে ভাবে রাজনৈতিক বিভাজন হচ্ছে তাতে কে কখন কোন দলে চলে যাবেন বোঝা মুশকিল। এর মধ্যেই মঙ্গলবারের বার বেলায় রুদ্রনীল ঘোষের একটি ফেসবুক পোস্ট নতুন জল্পনার জন্ম দিল। যেখানে এক ফ্রেমে রয়েছেন তিন জন। রুদ্র, মিঠুন চক্রবর্তী এবং যীশু সেনগুপ্ত। সেই মুহূর্তের ছবিই নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন রুদ্রনীল। ক্যাপশনে লিখেছেন, “আড্ডা যখন অন্যরকম।”
এমনিতে তিনজন অভিনেতা একসঙ্গে আড্ডা দেবেন এতে অবাক হওয়ার তেমন কিছু নেই। কিন্তু পরিস্থিতি যখন পুরোপুরি রাজনৈতিক তখন এই ছবি নিয়ে কৌতূহলী অনেকেই। কেউ কেউ ওই পোস্টে লিখেছেন, “যীশুদা, জয় শ্রীরাম।” কেউ কটাক্ষ করে লিখেছেন, “যিশুদা সময় কাটাতে চিড়িয়াখানা ঘুরতে গেছিলেন। তারপরেই এই বিশেষ প্রজাতির গোখরো ও গিরগিটির সাথে ছবি বলে সূত্রের খবর।” কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, যিশুও কি পদ্ম শিবিরে যোগ দিচ্ছেন? “এই দলে যোগদান করলে দয়া করে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন না”, এমন মন্তব্যও করা হয়েছে।
যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। তবে ফোন তুলেছেন ‘ত্রয়ী’ সেলফিটি মুঠোফোনে যিনি ধরেছেন, সেই রুদ্রনীল ঘোষ। রুডির সাফ কথা, “সামনে বিধানসভা নির্বাচন। রান্নাঘর থেকে প্রেম। সব জায়াগাতেই রাজনীতি। রান্না করতে-করতেও রাজনীতি। প্রেমালাপের মধ্যেও রাজনীতি। তিনজন শিল্পী যদি বসে আড্ডা মারেন, তাহলে তো সেখানে রাজনীতি থাকতেই পারে।”
আরও পড়ুন: সৃজিতের ক্যামেরায় এবার সত্যজিতের ছোটগল্প! নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ‘রে’
যিশু কি বিজেপিতে যোগদান করছেন— তা নিয়ে কি কথা হয়েছে? প্রশ্ন শুনে বেশ কিছুক্ষণ সময় নিলেন রুদ্রনীল এবং তারপর তুলে আনলেন বর্তমান বাংলার প্রসঙ্গ, খেয়ালি গলায় রুদ্র বললেন, “বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি তা নিয়ে কথা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন অন্যায় এবং সে বিষয়ে সরকারের ঔদাসীনতা উঠে এসেছে। তাতে আমরা সবাই কষ্ট পেয়েছি। কেউ বিরোধিতা করেছি। কেউ রাজনীতিতে এসেছি। কেউ নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।”
রুদ্রর আরও সংযোজন, “যিশু কী করবেন সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত। আমি বা মিঠুনদা, ওঁকে (যিশু) যোগদান করানোর কেউ নই। সেটা বিজেপি-রাজ্য নেতাদের দায়িত্ব।”
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ রণবীর কাপুর, কি হয়েছে জানালেন মা নীতু