Site icon The News Nest

Kangana Ranaut : ‘ভগৎ সিংহের মৃত্যুদণ্ডে রাজি ছিলেন’, এবার কঙ্গনার টার্গেট গান্ধীজি

kangana 2

ফের বিতর্কে জড়ালেন কঙ্গনা রানাউত। দেশের স্বাধীনতা, জওহরলাল নেহেরুরু পর এবার কঙ্গনার নিশানায় গান্ধীজি। কন্ট্রোভার্সি কুইনের নয়া পোস্ট ঘিরে আবার শুরু শোরগোল।

দিন দুয়েক আগেই অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “২০১৪ সালে ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে। ১৯৪৭-এ যেটা পেয়েছিল, সেটা ভিক্ষা।” কঙ্গনার এমন মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো আগুন জ্বলে উঠেছিল। স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে এহেন বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। যার প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে কঙ্গনা রানাউতের পদ্ম পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছিলেন মহিলা কমিশন। তারপর থেকে জাতীয় রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস, শিব সেনার মতো দল অভিনেত্রীর পদ্ম পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে।

এবার আরও একধাপ বাড়িয়ে গান্ধিজীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন কঙ্গনা রানাউত। জাতির জনক ছিলেন নরমপন্থী। তিনিই শিখিয়েছিলেন অহিংসা-নীতি। বলেছিলেন, “কেউ একগালে চড় মারলে, আরেকটা গাল বাড়িয়ে দাও…।” আর সেই কথাকে হাতিয়ার করেই অভিনেত্রী কুরুচিকর মন্তব্য করেন।

কঙ্গনা তাঁর ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “আপনি হয় নেতাজির ভক্ত কিংবা গান্ধীজির ভক্ত। একসঙ্গে দুজনের ভক্ত হওয়া কারও পভক্ষে সম্ভব নয়। গান্ধিজীই তো দেশের স্বাধীনতার ভার নেতাজি হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ওঁরাই তো শিখিয়েছিলেন কেউ এক গালে চড় মারলে আরেক গাল বাড়িয়ে দাও। আর এভাবেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এভাবে স্বাধীনতা পাওয়া যায় না, এভাবে ভিক্ষা পাওয়া যায়। তাই কাকে হিরো হিসেবে বাছবেন, নিজেরাই ভাবুন।”

পরের পোস্টে কঙ্গনা (Kangana Ranaut) লিখেছেন, “গান্ধি কখনও ভগৎ সিং ও নেতাজিকে (Neaji) সমর্থন করেননি। প্রমাণ আছে যে গান্ধি ভগৎ সিং (Bhagat Singh) এর ফাঁসি চেয়েছিলেন। তাই সিদ্ধান্ত নিন আপনি কাকে সমর্থন করবেন।” ফের কঙ্গনার এই মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Exit mobile version