২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে আজ শহর জুড়ে আলোর রোশনাই। ঘরে ঘরে সেজে উঠেছে ক্রিসমাস ট্রি। চলছে কেক খাওয়ার পর্ব, বাদ নেই সেলেবরাও। মে মাসেই মা হয়েছেন কোয়েল। ছেলে কবীরের জন্মের পর এটাই প্রথম ক্রিসমাস। তাই ছেলের সঙ্গেই আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন অভিনেত্রী। করোনা আবহে বাইরে যাওয়া রিস্কি, তাই ঘরের মধ্যেই কবীরকে সান্তাক্লজের বেশে সাজিয়েছেন কোয়েল।
কিংবদন্তির সান্তাক্লজ মানেই তো পরনে সাদা কলার ও কাফযুক্ত লাল কোট, সাদা কাফযুক্ত লাল ট্রাউজার্স, কালো চামড়ার বেল্ট ও বুটজুতো- তেমনই সাজে দেখা মিলল কবীরের। অন্যদিকে কোয়েল দুধে আলতা রঙের ইন্দো-ওয়েস্টার্ন গাউনে অনুরাগীদের ‘মেরি ক্রিসমাস’-এর শুভেচ্ছা জানালেন কোয়েল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ ভিডিও শেয়ার করেছেন কোয়েল। সেখানে তিনি বলেন, “শীতের সময়টা আমার ভীষণ ভাল লাগে। ছোটবেলায় আমি আর মা ক্রিসমাসের সময়টা নিউ মার্কেটে গিয়ে অনেক জিনিস কিনে আনতাম। প্রচন্ড মজা করে সাজাতাম। ক্রিসমাস মানেই আমার কাছে আনন্দ। সান্টা আসবে। সবার সব স্বপ্নপূরণ করবে। সকলের জীবন সে অনেক সুন্দর করে দেবে। আকাশে বাতাসে প্রচুর মজা, প্রচুর আনন্দ। অনেক খুশির একটা পরিবেশ তৈরি হবে এই ক্রিসমাসের সময়।”
আরও পড়ুন: শর্ট নোটিশে বন্ধ হয়ে গেল ‘ফিরকি’-র শুটিং, কিন্তু কেন?
সান্টার অপেক্ষায় মোজা ঝুলিয়ে রাখাটা যেন ছোটবেলার রেওয়াজ। সেই নস্টালজিয়া রয়েছে কোয়েলেরও। তাঁর কথায়, “ছোটবেলায় যেভাবে আমরা সকলে মনে করি সান্টা বলে একজন আছে। রাতের বেলা এসে কানে কানে উইশ করবে। আমিও সেটা বিশ্বাস করতাম। ভাবতাম সত্যিই একজন বুড়ো দাদু আসবে আর অনেক কিছু দিয়ে যাবে। মা সব সময় বলত প্রার্থনা করে ঘুমোতে যাও। এমনিতেই করি। কিন্তু ২৪ তারিখ রাতের স্পেশ্যাল প্রার্থনা। আমি একটা মোজা রেখে দিতাম। পরের দিন সকালে ভর্তি হয়ে যেত চকোলেটে। আমি ভাবতাম চকোলেট তো চাইনি। এটা উপরি পাওনা।”
সান্তা যতই মিথ হোক না কেন, প্রার্থনা করাটা খুব জরুরি জানান কোয়েল। কারণ সবার জীবনেই সিক্রেট সান্তা রয়েছেন, যাঁরা আমাদের ইচ্ছাপূরণের কাণ্ডারি হয়ে ওঠেন। তাই সবার ভালোর জন্য প্রার্থনা জারি থাকুক।
আরও পড়ুন: ‘মুচ্ছড়’ দেবের জন্মদিনে গোলন্দাজের সেটে হাজির রুক্মিনী, সারপ্রাইজ সেলিব্রেশনে অভিভূত বার্থডে বয়