দোকানের আর পাঁচটা চেনা ছাঁচে ফেলা লক্ষ্মীপ্রতিমার মুখ নয়। তবে এই মুখ একেবারে অচেনাও নয়। উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) ভবানীপুরের বাড়ির লক্ষ্মীপ্রতিমা বানানো হয় সেই বাড়ির-ই গৃহলক্ষ্মীর মুখে আদলে। মহানায়কের বাড়ির পুজোয় আদতে আজও ‘গৌরীরূপী’ লক্ষ্মীর পুজোর চল রয়েছে। আরেকটু খোলসা করে বললে, উত্তম কুমারের স্ত্রী গৌরিদেবীর মুখের আদলে লক্ষ্মীপ্রতিমা বানিয়েই পুজো শুরু করেছিলেন মহানায়ক। বছরের পর বছর ধরে আজও সেই রীতি পালিত হয়ে আসছে। আর ঠাকুরদা উত্তম কুমার, তরুণ কুমার একসময়ে যে আসনে বসে পুজো করতেন, এখন সেই আসনে বসে পুজো করেন নাতি তথা টলিউডের স্বনামধন্য অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায় (Gourab Chatterjee)।
বিয়ের পরে সব নিয়ম নিষ্ঠা ভরে পালন করলেন দেবলীনা কুমার। পাশে পেয়েছেন স্বামী গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে। দু’জনে নিখুঁত ভাবে সারলেন দাদু উত্তমকুমারের লক্ষ্মীপুজো। চওড়া জরি পাড় সাদা বেনারসি। সিঁথিতে সিঁদুর। গা ভরা গয়না। মাথায় ঘোমটা টেনে পুজোর সন্ধেয় উত্তমকুমারের নাতবৌ নিজেই লক্ষ্মীমন্ত।
দেবলীনার সঙ্গে দেখা গিয়েছে দুই ননদ নবমিতা, মৌমিতাকেও। ছিলেন তাঁর শাশুড়ি মায়েরাও। বাড়ির নিয়ম মেনে ঘট বসিয়েছেন। নির্দিষ্ট কিছু আচার পালন করেছেন। গৌরবের পাশে সারাক্ষণ থেকেছেন দেবলীনা। হাতে হাতে গুছিয়ে দিয়েছেন পুজোর নৈবেদ্য। মহানায়কের নাতি বাড়ির রীতি মেনে সুসজ্জিত ধুতি-জোড়ে। দাদুর আসনে বসেই পুজো সারেন তিনি। অঞ্জলিও দেন।
ভবানীপুরে শ্বশুরবাড়ির পাশাপাশি দেবলীনার নাচের স্কুলেও পুজো হয়। সেখানে তিনি যেন দশভূজা! প্রতিমা বরণ থেকে পুজোর আয়োজন— মা দেবযানী কুমার, বাবা দেবাশিস কুমারের সঙ্গে সব সামলেছেন।