মুম্বই: লকডাউনের কারণে বহুদিন হল শ্যুটিং বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে কঠিন সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দৈনিক রোজগেরে কলাকুশলীরা। এসবেরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একটি ‘ড্রেস দাদা’র ভিডিয়ো।
ভিডিয়োতে ওই ‘ড্রেস দাদা’ হিসাবে নিজের পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, এই মুহূর্তে রোজগার বন্ধ। তাঁরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তার উপরে যে সমস্ত বকেয়া টাকা রয়েছে, সেগুলিও দিতে রাজি হচ্ছেন না প্রযোজকরা। টাকা চাইলে পাল্টা হুমকি মিলেছে বলে অভিযোগ তাঁর। এমকি বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন কিংবা পুলিসে জানিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই ‘ড্রেস দাদা’। ‘হামারি বহু সিল্ক’ বলে একটি টিভি ধারাবাহিকের সঙ্গে এই মুহূর্তে যুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক! ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিং বন্ধ করতে আসতে চলেছে নয়া নির্দেশিকা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা ‘ড্রেস দাদা’র ভিডিয়োটি নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। কৃতি লিখেছেন, ”আমার এক বন্ধু হামারি বহু সিল্ক ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আমি এই একজনের কথা জানতে পারলাম। আরও না জানি এমন কত ব্যক্তি রয়েছেন। যাঁদের পাওনা টাকা এভাবে আটকে রয়েছে, তাঁদের জন্য খুব খারাপ লাগছে। এই পরিস্থিতিতে ওদের টাকাটা খুবই প্রয়োজন। আমি প্রযোজকদের কাছে অনুরোধ করব, ওনাদের পাওনা টাকা দিয়ে দিতে। টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন- (CINTAA) কেও বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করবো।”
অন্যদিকে, নিজের আগামী ছবি Mimi’র জন্যে প্রায় ১৫ কেজি ওজন বাড়াতে হয়েছে অভিনেত্রী কৃতী স্যাননকে। এই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কৃতী জানালেন ওজন বাড়ানোর কাজটা মোটেই সহজ ছিল না তাঁর জন্যে। জোর করে বেশি বেশি খেতে হত। ফলে একটা সময়ে খাওয়ার প্রতি অনীহা চলে এসেছিল।
একটি সাক্ষাত্কারে কৃতী জানালেন, ‘প্রেগনেন্সি সিন শ্যুট করার ছিল। লক্ষ্মণ স্যার স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছিলেন প্রেগনেন্সির দৃশ্যের জন্যে ওজন বাড়াতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারীর চিসলড ফেস চাননি তিনি। কিন্তু আমার যেহেতু মেটাবলিক রেট খুব বেশি, তাই ওজন বাড়াতে বেগ পেতে হয়েছিল। ক্যালরি ইনটেক এবং খিদে বাড়ানোর জন্যে সবরকম এক্সারসাইজ এমনকি যোগাসনও বন্ধ করে দিয়েছিলাম। শুরুতে মজা লাগলেও, পরের দিকে খাবারের প্রতি সব ইন্টারেস্ট চলে গিয়েছিল। খিদে না পেলেও চিজ খেয়ে নিতাম।’
Mimi ছবি এমন এক উঠতি নায়িকার কথা বলে যিনি মান্ডওয়ার এক নৃত্যশিল্পীও। কীভাবে তিনি এক দম্পতির জন্যে সারোগেট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাই উঠে আসে ছবিতে। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন লক্ষ্মণ উটেকর।
আরও পড়ুন: নাকফুলই হোক বা নথ, ক্যারি করা শিখুন ‘বং বিউটি’ স্বস্তিকার কাছে!