ডায়লগেই ফাঁসলেন মিঠুন, মানিকতলা থানায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ বার্থডে বয়কে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

জন্মদিনে পুলিশে জেরার মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভোটের সময় উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে বুধবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মানিকতলা থানার আধিকারিকরা। মামলার কাঁটা সরাতে আগেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মিঠুন। উচ্চ আদালত ওই অভিনেতাকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে।ভার্চুয়ালি অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশের আধিকারিকরা। ভোট পরবর্তী হিংসায় ইন্ধন দিয়েছেন মিঠুন। এমনই অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে প্রায় ৪৫ মিনিট মিঠুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মিঠুন কবে, কী বক্তৃতা করেছেন তা জানতে চান তদন্তকারীরা। বিজেপি-র হয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন নাকি তাঁকে অর্থের বিনিময়ে আনা হয়েছিল, তা-ও জানতে চাওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যে সংলাপগুলি মিঠুন বিজেপি-র হয়ে নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন তার পিছনে কারও নির্দেশ ছিল কি না তা-ও জানতে চান পুলিশ আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন:‘ইচ্ছেনদী’-র ৬ বছর! আবেগে ভাসলেন বিক্রম – শোলাঙ্কি

মিঠুন উত্তর দেন, টাকার বিনিময়ে নয়, তিনি বিজেপি-র আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, ওই সংলাপ মানুষের ভীষণ পছন্দের। তাই সেই সব সংলাপ তিনি নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন। এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। মানিকতলা থানা সূত্রে খবর, অভিনেতার বয়ান পুরোটাই রেকর্ড করা হয়েছে।

একুশের নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে সভা করেছিল গেরুয়া শিবির। আর সেই সভায় মিঠুন বক্তব্য দিতে উঠে তাঁর ছবির ডায়ালগ ব্যবহার করেছিলেন। সেই সংলাপটি ছিল, ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে।’ এছাড়াও বলেছিলেন, ‘এক ছোবলেই ছবি।’ এই সভার পর গেরুয়া শিবিরের হয়ে যতগুলি সভা করেছিলেন মিঠুন প্রায় সবকটিতেই তিনি এই সংলাপগুলো ব্যবহার করেছিলেন।এরপরই ৬ মে তৃণমূলের তরফে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পাল্টা হাইকোর্টে আবেদন করেন মিঠুন। তিনি আদালতকে জানান, সংলাপের মাধ্যমে কোনওভাবেই হিংসা ছড়ানোর পক্ষে তিনি নন বা ছড়ানওনি। মনোরঞ্জনের জন্য ওই সংলাপগুলো ব্যবহার করেছিলেন মাত্র।

গত ১১ জুন মিঠুন কলকাতা হাই কোর্টের আবেদন করেছিলেন। তবে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে মিঠুনকে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার বদলে তিনি ভার্চুয়ালি অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়ে দেয় উচ্চ আদালত। সেই মতো বুধবার মিঠুনকে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করেন মানিকতলা থানার আধিকারিকরা। হাই কোর্টে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুন।

যে দিন সকালে মিঠুন পুলিশি জেরার মুখে, ঘটনাচক্রে সেই ১৬ জুন তাঁর জন্মদিন। ৭১ পূর্ণ করে বুধবার ৭২-এ পা রাখলেন মিঠুন। জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। ফেসবুক পোস্টে অগ্নিমিত্রা লিখেছেন, ‘আজ আমার দাদার জন্মদিন….শুভ জন্মদিন দাদা…খুব খুব ভাল থেকো…সুস্থ থেকো…আমি নিজেকে ধন্য মনে করি এই জীবনে তোমাকে আমার দাদা হিসেবে পেয়ে…’

আরও পড়ুন:  Bell Bottom: আকর্ষণীয় টিজারের সঙ্গে সিনেমাহলে ছবি মুক্তির তারিখ জানালেন অক্ষয় কুমার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest