Corona Vaccine: কসবায় করোনা ভ্যাকসিন জালিয়াতির শিকার মিমি চক্রবর্তী!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কসবায় করোনা ভ্যাকসিন জালিয়াতির শিকার খোদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। মঙ্গলবার কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ শিবির চলছিল। সেখানেই কোভিড টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন যাদবপুরের সাংসদ। কিন্তু পরে নাকি তিনি জানতে পারেন কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই টিকাকরণ শিবিরটি চলছিল। এই অভিযোগে এক ভুয়ো আমলাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : আরও চারদিন বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলা, ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গেও

মিমি চক্রবর্তী বললেন, “আমার কাছে কয়েকটি আগে একটি ফোন আসে। বলা হয় যে জয়েন্ট কমিশনার অফ কেএমসির উদ্যোগে একটি ক্যাম্প হচ্ছে। এখানে থার্ড জেন্ডার, বিশেষ সক্ষম ব্যক্তি, ছোটো ব্যবসায়ীদের টিকা দেওয়া হবে। তখন আমি বলি, অবশ্যই আসব। আমার আসাতে যদি ওঁরা অনুপ্রেরিত হন, আমি নিশ্চয়ই গোটা বিষয়টি প্রোমোট করব। আমি নিজেও ওখানে ভ্যাকসিন নিই। আর তারপরই আমার খটকা লাগে, যে আমার কোনও মেসেজ আসে না। আমি ভাবলাম চলে আসবে। সার্টিফিকেট চাই। তখন ওরা বলে, আমার বাড়িতে পৌঁছে যাবে। আমি বাড়ি চলে যাওয়ার পরও সার্টিফিকেট আসে না। আমার অফিসের লোক গিয়ে ফের খোঁজ করেন। তখন ওরা বলে, তিন চার দিন সময় লাগবে। তখনই বুঝি এটা তো হওয়ার কথা নয়। সকলের কাছ থেকে খোঁজ নিই। ওঁদের রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল কিনা, মেসেজ এসেছে কিনা! কিন্তু প্রত্যেকেই না জানান। তারপরই বুঝতে পারি, বড় গণ্ডগোল হচ্ছে। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করি।”

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ শিবির চলছিল। অভিযোগ, তাতেই উপস্থিত ছিল দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি। সে নিজেকে আইএএস (IAS) বলে পরিচয় দেয়। এছাড়াও ক্যাম্পে দাঁড়িয়েছিল নীল বাতি লাগানো কলকাতা পুরসভার গাড়ি। কলকাতা পুরসভার লোগো লাগানো মাস্ক এবং স্যানিটাইজারও ওই টিকাকরণ শিবির থেকে বিলি করা হয়। আচমকা এই শিবির দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। সে কারণে ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে পুলিশ প্রথমে দেবাঞ্জন দেবকে আটক করে। রাতভর জেরা করা হয় তাকে। তারপরই পুলিশ জানতে পারে, দেবাঞ্জন ভুয়ো পরিচয় দিয়ে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছে। সে তথ্য জানার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সেই টিকাকরণ শিবিরেই মঙ্গলবার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সঙ্গে কোভিড টিকার (Covid Vaccine) প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন মিমি। জুন মাসে প্রাইড মাস (Pride Month) সেলিব্রেট করা হচ্ছে।  সেই কারণেই ভ্যাকসিনের সমানাধিকারের কথাও জানিয়েছিলেন যাদবপুরের সাংসদ।  কিন্তু একদিন পরই পরিস্থিতি পুরো পালটে গিয়েছে। ঘটনায় পুরসভার কোনও কর্মীর যোগসূত্র থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।

মঙ্গলবারও দেবাঞ্জনকে গ্রেফতারের আগে পর্যন্ত এই ক্যাম্প থেকে টিকা নেন ২৫০ জন। জানা যায়, অনুমতি ছাড়াই চলছিল এই ক্যাম্প। পাকড়াও করা হয়েছে দেবাঞ্জনকে। তাঁর থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল আই কার্ড। এমনকি তাতে কলকাতা পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের সই জাল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাঁর থেকে মেলে নীল বাতি যুক্ত গাড়িও। কোথা থেকে এল এত টিকা? কীভাবেই বা পুরসভার লোগো ব্যবহার করা হল? আদৌ কি আসল টিকা? এই ক্যাম্পের উদ্যোক্তা কারা? উঠছে একাধিক প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা।

এ প্রসঙ্গে বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ বলেন, “কোনও টিকাকরণ শিবির হলে. টিকা বরো থেকেই যায়। কোথায় ক্যাম্প হচ্ছে সেটা আমাদের জানানো হয়। আমি যখন জানতে পারলাম, এটা স্বাস্থ্য দফতরের আওতায় নয়, তখন আমি স্পেশ্যাল কমিশনারকে ফোন করলাম। দেবাঞ্জন দেব নামে এক ভদ্রলোক এই কাজ করছেন। টিকা কোথা থেকে আসল জানি না। পৌরসভা থেকে নেওয়া হয়নি। টিকা কোথা থেকে এল, সেটা পুলিশ তদন্ত করে বার করবে।”

আরও পড়ুন : দায়িত্ব ছাড়লেন রাহুল ঢোলাকিয়া, মিতালি রাজের বায়োপিক ‘সাবাশ মিঠু’র পরিচালনা করবেন সৃজিত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest