অসুস্থ মিমি চক্রবর্তী। তাঁর পেটে ব্যথা হচ্ছে। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। অভিনেতা-সাংসদের রক্তচাপও বেশ কিছুটা কম। তিনি এতটাই কাহিল হয়ে পড়েছেন যে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার জন্য যে শারীরিক জোর লাগে, তাও পাচ্ছেন না। বাড়িতেই অভিনেত্রীর রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন জাগে, কসবার ভুয়ো শিবিরে ভুয়ো টিকা নেওয়ার ফলেই এই সমস্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিল? পরীক্ষা না করানো পর্যন্ত সেই উত্তর পাওয়া যাবে না। আনন্দবাজার অনলাইনকে মিমি জানালেন, ‘‘খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছি। ভোর ৪টে থেকে পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। ভোর ৬টায় চিকিৎসক আমার বাড়ি আসেন।’’ তাঁর কথা থেকেই জানা গেল, চিকিৎসক আপাতত তাঁকে সারা দিন বিশ্রাম করতে বলেছেন। ফোন দূরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক। শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যন্ত বিধ্বস্ত অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: Tridha-Nikhil: বিকিনিতে উত্তাপ বাড়াচ্ছেন ত্রিধা, ভালোবাসা জানালেন নুসরতের ‘সহবাস সঙ্গী’
দিন কয়েক আগে কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প থেকেই ‘টিকা’ নিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তিনিই প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের পর্দা ফাঁস করেন। জানা যায়, ভুয়ো ক্যাম্প চালিয়ে কলকাতা-সহ শহরতলিতে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিতেন ধৃত দেবাঞ্জন দেব। এমনকি নিজেকে IAS অফিসার বলেও পরিচয় দিতেন। যদিও সেটাও ভুয়ো। পুলিসি তদন্তে জানা যায়, কসবার ক্যাম্পে কোভিশিল্ডের নাম করে অ্য়ামিকাসিন (Amikacin) অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল। Amikacin-এর ভায়েলের উপর কোভিশিল্ডের স্টিকার লাগিয়ে, সেই ওষুধ সাধারণ মানুষকে টিকা বলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। যদিও সেই ভুয়ো টিকার প্রভাবেই, অভিনেতা-সাংসদের শরীর খারাপ হয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মিমি বলেন, ‘‘পুরসভার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মুখে খবরটা পাওয়ার পরেই আমি চিন্তায় পড়ে যাই। চিকিৎসককে ফোন করি। তিনি বলেন, এটা এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, যেটা জলে গুলে দেওয়া হয়েছে। পেট এবং মূত্র সংক্রমণে এই ওষুধ দেওয়া হয়। এটা খুবই কড়া ওষুধ। জলে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সম্ভবত সে রকম ক্ষতি করবে না বলে জানালেন চিকিৎসক।’’
আরও পড়ুন: ‘আর দেখতে পাব কিনা জানি না…’ Covid নিয়ে সাধারণকে সতর্ক করলেন গায়িকা পরমা