#RIPSushant: ১০ জনের বয়ান রেকর্ড, বলিউডের ৫ প্রযোজনা সংস্থাকে নোটিস পাঠাচ্ছে মুম্বই পুলিশ!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

The News Nest: সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার জন্য সলমন খান, করণ জোহর, একতা কাপুর এবং সঞ্জয় লীলা বনশালি ইতিমধ্যে কাঠগড়ায়। এবার তদন্তের জন্য মুম্বইয়ের ৫টি খ্যাতনামা প্রযোজনা সংস্থাকে আইনি নোটিস পাঠাতে চলেছে মুম্বই পুলিশ।

তবে কোন কোন প্রযোজককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তা এখনও জানানো হয়নি।‘ছিঁছোড়ে’র পর প্রায় ৭টি বড় ব্যানারের সিনেমা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল সুশান্তের (Sushant Singh Rajput)। সলমনের প্রযোজনা সংস্থা-সহ, বলিউডের আরও ছয়টি প্রযোজক অভিনেতাকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেছিলেন। যার ফলে, সুশান্তের কাছে ওয়েব সিরিজ কিংবা টেলিভিশনে অভিনয় করা ছাড়া, আর কোনও উপায় ছিল না! কেন ওই সাতটি ছবি থেকে বাদ দেওয়া হল সুশান্তকে? জেরা করা হবে সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থাগুলোকে। ছবি থেকে বাদ পড়ার ফলে অভিনেতা কয়েকজন প্রযোজকের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন, সেসব জিজ্ঞেসাবাদও চলবে, বলে জানা গিয়েছে।

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর ৭২ ঘন্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট বলছে আত্মহত্যাই করেছেন অভিনেতা,ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেটাই উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি তাঁর বাড়ি থেকে। পুলিশ জানিয়েছে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেতা। তবে পেশাগত বিদ্বেষই তাঁর মানসিক অবসাদের কারণ কিনা সেই দিকটা খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ।

আরও পড়ুন: জিয়া খান মৃত্যু-রহস্য! আত্মহত্যা নাকি হত্যা- সন্দেহের ১০ কারণ

টাইমস নাও সূত্রে খবর,পুলিশ সুশান্তের বান্দ্রার কাটার রোডের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পাঁচটি ব্যক্তিগত ডায়রি উদ্ধার করেছেন। সেই ডায়রির প্রতিটি লেখা খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ,যাতে সুশান্তের জীবনে কী ঘটছিল সেই সম্পর্কে একটা মূর্ত ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়াও অভিনেতার মোবাইল,ল্যাপটপও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

এদিন কাস্টিং ডিরেক্টর তথা সুশান্তের শেষ ছবির পরিচালক এবং বন্ধু মুকেশ ছাবড়ার বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বই পুলিশ, জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।সূত্রের খবর পুলিশকে দেওয়া দেওয়া বয়ানে ছাবড়া জানান, সুশান্ত ভীষণ ইন্ট্রোভার্ট মানুষ,মনের কথা খুব বেশি মন খুলে বলত না। ছাবড়া জানান সুশান্তের পেশাগত বিদ্বেষ সম্পর্কে তিনি বিশেষ কিছু জানেন না,কোন বড় প্রযোজক সংস্থার সঙ্গে সুশান্তের সমস্যা সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। তিনি আরও জানান, খুব বুদ্ধিদীপ্ত অভিনেতা সুশান্ত,ফোনে কথা বলতে খুব বেশি পছন্দ করত না।বেশিরভাগ সময়ই ফোন করলে কেটে দিত,কিন্তু প্লেস্টেশনে গেম খেলার নেশা ছিল, বই পড়তে বেজায় ভালোবাসত, বিশেষত কোয়ান্টাম অফ ফিজিক্স ওর পছন্দের বিষয়’। শেষবার ২৭ মে, নিজের জন্মদিনের দিন সুশান্তের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছে মুকেশ ছাবড়ার এবং সুশান্তের কথাবার্তায় কোনওরকম অস্বাভিকতা অনুভব করেননি তিনি।

সুশান্তের আত্মহত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিনেতার বাবা কেকে সিং এবং তাঁর দুই দিদি, দুই ম্যানেজার,বাড়ির বাঁধুনি,পরিচারক সহ মোট ৯ জনের বয়ান আগেই রেকর্ড করেছিল পুলিশ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে খবর,সুশান্তের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে অবসাদগ্রস্ত ছিল না জানতেন না তিনি। হ্যাঁ,মাঝেসাঝে মন খারাপের কথা বলত,ব্যাস ওইটুকুই। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য কারুর দিকে সন্দেহের আঙুল তোলেনি প্রয়াত অভিনেতার পরিবার,জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশের এক সিনিয়ার অফিসার।এরমাঝেই আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলি, যাঁর সঙ্গে সুশান্তের বিবাদ নিয়ে সলমন খানের নাম জড়িয়েছে, মুখ খুলেছেন তিনিও। তাঁর কথায়, “সুশান্তের সঙ্গে কোনও ঝামেলাই হয়নি!”

আরও পড়ুন: ৭ বছর আগে সুইসাইড নোটে কি লিখেছিলেন ‘নিঃশব্দ’ অভিনেত্রী জিয়া খান? শেষ মেসেজই বা কি ছিল

Gmail 3
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest