সুশান্ত সিং রাজপুত মামলা (Sushant Singh Rajput Suicide Case) মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে ১২ হাজার পাতার চার্জশিট জমা দিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau)। তালিকায় নাম রয়েছে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) ও তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তী(Showik Chakraborty)-র নাম। এছাড়াও আরও ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে(Charge Sheet)।
২০২০ সালের ১৪ জুন মাসে সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার পর থেকে তোলপাড় হয়ে যায় দেশ। স্বজনপোষণ থেকে শুরু করে মাদক ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে বলিউড তারকাদের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে মুম্বই পুলিশ সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করলেও পরে ৩টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে সুশান্তের মৃত্যু সংক্রান্ত অনুসন্ধানের দায়ভার তুলে দেওয়া হয়। সেগুলি হল সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন), ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) ও এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো)।
গত অগস্ট মাস থেকে মাদক সংক্রান্ত মামলা শুরু করে এনসিবি। তার জল গড়ায় বলিউড পর্যন্ত। একাধিক বলি তারকা এনসিবির নজরে চলে আসেন।দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, রকুল প্রীত সিংহ, শ্রদ্ধা কপূর, অর্জুন রামপালেরও বয়ান রেকর্ড করেন আধিকারিকরা। দায়ভার কাঁধে নেওয়ার প্রায় ৭ মাস পরে কেন্দ্রীয় সংস্থা নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো চার্জশিট পেশ করল আদালতে।
আরও পড়ুন: ভোটের আবহে গেরুয়া বিকিনিতে চান্দ্রেয়ী! ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখেছেন?
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রিয়া-সহ সেই চার্জশিটে আরও ৩৩ জনের নাম রয়েছে। একাধিক মাদক পাচারকারী ও ব্যবহারকারীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এক মাসের বেশি কারাবন্দি ছিলেন সুশান্তের প্রেমিকা অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। এনসিবি আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, ‘অল্প পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে’। কেবল রিয়া নন, তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীও ৩ মাস এনসিবি-র হেফাজতে ছিলেন। অভিযোগ ছিল, তিনি সুশান্তকে মাদক পাচার করতেন।
তদন্ত চলাকালীন বিভিন্ন মাদক, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, ভারতীয় ও বিদেশী মুদ্রা আটক করা হয়। এদিন মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে এনসিবি জানিয়েছে, আটক করা দ্রব্যগুলির মধ্যে বিভিন্ন মাদকও উপস্থিত ছিল। এরমধ্যে চরস, গাজা, একস্টেসি এবং আলপ্রাজ়োলাম ও ক্লোনাজ়েপামের মতো ওষুধ ছিল, যা মনোরোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
এনসিবি জানায়, মাদক ছাড়াও সুশান্ত ও তাঁর আত্মহত্যার সঙ্গে জড়িত, এমন সন্দেহের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কল রেকর্ড, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, লোকেশন ট্যাগ, ভিডিয়ো ও ভয়েস রেকর্ডিং সহ প্রায় ৫০ হাজার পাতার ডিজিটাল প্রমাণও জমা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০০ জন ব্যক্তির বয়ান রেকর্ড করেও জমা দিয়েছে এনসিবি।
আরও পড়ুন: সায়নী,রাজ,মনোজ,সায়ন্তিকা,কৌশানি-সহ একঝাঁক তারকা প্রার্থী তৃণমূলের, দেখুন তালিকা